===ফাগুন===
      =========================
       কলঃ-ইয়াসিন সেপাই/০৫-১১-১৪২৬
            ――――――――――――–――
ফাগুনে সদ্য ফোটা তুই,বসন্তের বোনে, লাল- পলাশ ফুল?
পাতা ঝরা ডালের মাথায় যেন,কোন এক নারীর তুই" সিঁথির সিঁদুর।
দূরে সোনা যায় কোকিলের কন্ঠে,ফাগুনের সেই চেনা সুর,
ধূলি রাঙা পথে, মেয়াদ শেষে ঝরা পাতায় বাজে করুন সুর।
দক্ষিনা বাতাসে গন্ধ ছড়ায়, বসন্তে ফোটা চেনা শিমুল ফুল,,
খোঁপায় ফুল,নাকে নোলক,আলতা পরা গাঁয়ের মেয়ে তুই..,।


পলাশ ফুলের একটা দুটো কুড়ি নিচ্ছিস খোঁপায় গুঁজে,
পলাশ বনে লাল রঙে,ফুল তুলে ফাগুন কে নিস তুই খুঁজে।
বসন্তে দোল খেয়ে ঝরে পড়ে, সময় শেষে পল্লবের দল,
পাতা বিহীন গাছে ভরা, শোভিত রাঙা নানা ফুলের ডাল।
যেন মনেহয় নববধূর খোঁপায় বেঁধেছে" এক গুচ্ছ পলাশ লালি,
কোকিলের কন্ঠে বেজে ওঠে সানাইয়ের সুরে ফাগুন বাঁশি।


ভরে গেছে বসন্তে সবুজের বাগান, কত রঙের বাহারি ফুল,
কোচি পল্লবের চিকিমিকি আভা তে,যেন মনে- হয় ফালগুনীর নাক ফুল"।
ফলগুনীর সিঁথিতে,পলাশ রাঙা লাল চেরি মাখা সিঁদুর,
খোঁপায় বাঁধা,কৃষ্ণচূড়া গাঁথা মালা, মনে হয় নতুন সাজে নববধূ।
কোমরে ঝুমকা লতা জড়ানো,দোল খায় চলন  বাঁকে কাঁক,
পরনে বাসন্তী শাড়ি পলাশ রাঙা লাল পাড়ে  জড়ানো,লতানো অঙ্গে তার।


আলতা মাখা পায়ে,নুপুরের নাদ, ঝঞ্ঝনিয়ে ওঠে,সারা ফাগুন মাস,
দক্ষিনা বাতাসে উড়ন্ত আঁচল, পাতা ঝরার মতো লুটিয়ে পড়ে আঁচল তার।
ছুটে চলে দুধসাদা আলতা পায়ে, পলাশ বোনের দিকে,আঁচল পেতে,
শুকনো পল্লব মাড়িয়ে চলে,ফালগুনীর নরম পায়ের মর্মরে শব্দে।,
লাল পলাশ ফুল,তুলেছে ফাল্গুনী, দু-হাতে  আঁচলে ভরে।।
      ======================
কলঃ--ইয়াসিন সেপাই/-18-02-2020