ছোট্ট আমার জীবনখানি,
ভাসিয়া চলিল জীবনের স্রোতে।
পিছনে ফেলে আসা স্মৃতিগুলি
আবছা আবছা মনে পরে।
জীবনটা বড় কঠিন,
কত দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা ভেসে চলে গেল বুকের উপর দিয়ে।
আর কিছু চাই না এ জীবনে,
পয়েছি সব, আর চাই না।
কত নিশুতি রাতে শুয়েছি বিছানাতে ভয়ে ভয়ে।
ভেঙে গিয়েএছিল জীবনের মেরুদন্ড মোর সে সময়ে।
রাতে দূরে শেয়ালের উন্মাদ, কুকুরের ডাক,
সব শুনে বুকটা যেন ধুরুধুরু করে।
আর ঘুম হয় না, অতীতের স্মৃতিগুলি প্রচন্ড ধাক্কা দেয় এ মনকে।
আমি চাই না এই পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে,
তেমনি থাকতে চাই যেমন ছিলাম আমার শৈশবে।
চায় না বড় হতে আমি,
হলে বড় এ বয়স হাজার দুঃখ টেনে আনে,
হলে বড় এ বয়স ভালো-মন্দ বিচার করতে শিখে।
তারপর আসে যৌবনের পালা,
ইহা তো কীটের মতো দংশন করে।
আসবে এবার জীবিকার পালা, ছুটতে হবে তার পিছনে।
এভাবেই ছুটতে ছুটতে অতীতের মধুর স্মৃতি অন্ধকারে ডুবে রয়ে যাবে।
হে বিধাতা, তুমি দিলে কেন মন মানুষের মতো,
দাওনা সেই মন যাহা ছিল আমার শৈশবে।