তোমার শহরেই আবার বেঁধেছি বাসা
তোমায় এক ঝলক দেখার জন্য!
জানি ইদানিং খুব ব্যস্ত তুমি
নতুন ঘরে নতুন রূপ দিতে...


তবুও দোটানা স্বপ্নে ভর করে ভিড় পথে
দাঁড়িয়ে থাকি এক ঝলক দেখার জন্য!
চেনা বাসের সব জানালায় অপলক
চেয়ে থাকি...
যেখানে পেয়েছি নবীনা পাতার মতো কোমল ছোঁয়া!
সে রেস্তোরাঁয় আজ অচেনা মুখ যেখানে
ঠোঁটেরা মেতেছিল উষ্ণ স্পর্শে!
পরিচিত বাঁক আজ নিস্পন্দ, জনহীন,
সে আর এনে দেয়না লোভনীয় কস্তুরীর ঘ্রাণ!


আচ্ছা,
আজ বুঝি তুমি 'নতুন'এর তালিকায় অটল?
কাচের চুড়ির মতো দু-চারটে নিয়মকানুন এখন ভাঙোনা বুঝি?


পড়ন্ত বিকেলে পথ চলতে চলতে তোমার হাতের মুঠোই তার হাত ঘামে?
সেও কি রান্না ঘরে ঢুকে  অতর্কিতে
নাক ঘেঁষে তোমার বুকের গন্ধ শুঁকে?
জড়িয়ে পেঁচানো মিষ্টি যন্ত্রণায়
আজো কি দুচোখ মুদে, ঠোঁটের শূন্যতা বেয়ে মায়াবী ধ্বনি আকাশে উঠে?


হয়তো আজ বদলে গেছো,বয়স মেখে মানুষ যেমন আকার বদলায়....।


শহরের বুকে যখন সন্ধ্যা নামে,
বাঁকগুলো সব কাজল পরে নিশীথ আনে...
উদাস আমি ভারি পায়ে ঘরে ফিরি,যেমন
করে বাড়ি ফিরে শুকনো নদীর ঘাটোয়াল !
তবুও আকাশ থেকে কে যেন আশ্বাস
দেয়,
দেখা হবেই, যদিও এক ঝলক!