কখনো নয়ন সুখের নদী কলকল করে ওঠে ব্যাথার জলে
বুঝি উঠানের ধানের ধূলা গিলে খায় হঠাৎ বৃষ্টি,
তখন আমার কাননে দোলনা থামিয়ে কথা বলে ফুলেরা
চকমকিয়ে ওঠে নির্জনতা ভীনগ্রহীরা পাঠায় স্বর্গীয় বার্তা
বাতাসে বাতাসে স্পষ্ট হয় পদ ধ্বনি।
চারিপাশে সীমাহীন কলকাকলির ভেতর টের পাই অস্তিত্ব,
ঝিঁ ঝিঁ পোকার মতন অশেষ প্রয়াসে আওড়াই তোমার ভাষণ
আর যদি একটা গুলি চলে আর যদি আমার...............।
সেই অমর কবিতা যদি আর একবার শোনা যেত.............,
জানালার শিক ধরে হাসিতে বিভোর দুধের শিশুর
ঠিক তার সম্মুখে ওপার
পুব দিগন্তে হেলেপড়া রবি যেন এক কলনী যোদ্ধার ক্ষতময়ী শরীর।
যাদুঘর শ্রেষ্ঠ ঘর বাকরুদ্ধ জননী সে এক বুকে নিয়ে রক্তের তোরণ
তাকে দেখলে হা হা করে কাঁদে গবাদি পশু, রাখালের বাঁশি
ফসলের ক্ষেত, আঙিনার ঢেকি, পাহাড়ের মৃত ঝর্ণা।
হাজার বছরের বৃদ্ধ বৃক্ষের বুকে যত পাখি বাসা বেধে ছিল
সবাই নির্বাসন নিয়ে চলে যায়,
সুমহান বৈচিত্রের অচেনা শহরের দিকে তুমি কোথায়?
কালো শকুনের ভীরে তুমি ধবল ময়ূর ঝড়াও পালক
ছড়াও সভ্যতা শান্তি আলোর মূর্ছনা স্বাধীনতা হোাক সমতল নদী।


২৯/৮/১৫ রাত ১.০২ মিনিট।