আজ আমি চাই এ ক্লান্তির অবষান
ছেড়া বাধনের মুক্তি মুক্তির নিষাণ,
পায়ে পায়ে চলা বিষাদের ধ্বনি গেও পথিকের
যে বাশি বাজে গো মনে গতিরোধকের।
তরী করে হুড়োহুরি গোপনে চলিছে
কিশোরীর প্রেমে
জীবন গরুর গাড়ি চাকা খানা গেল থেমে।
এই আমার শান্তির তীর ভেঙ্গে ভেঙ্গে পরে
ঠুনকো আঘাতে,
ক্ষত বসতির মত জ্বলে জ্বলে উঠিল বেহাতে
চারিপাশে যত শান্তনার কথা বলা
সকল কেবল বুকেতে বেধেছে হয়ে লাঙ্গলের ফলা।
যত দূর আকাশেই উড়ে যাও পাখি
ততই কাঁদিয়া উঠি,
নৌযান উজান বহিছে নিজে লহিয়া ছুটি
এবার সাবার আলোকে আধাঁর দেখিবেনা কেউ
বসন্তে লাগিছে আগুন ভ্রমরা হারিয়েছে মৌ।
নিত্য গোষ্ঠি তাল ছেড়েছেন আজিকে, বেশুরা রাখালের বাশি
আমাকে লুকায় ধুলার চাদরে কোথাকার পাগলিণী আসি
কলমির ক্ষেত দুলায় বুলায় আঁচলেতে ঢাকি
যে যাও বলিয়া যাও আচমকা চমকেই কে উঠিল ডাকি।
যতবার জাগে মনে লাগে যেন ভাঙ্গা বেহালার শুর
আমি এক মৃত গিরি যৌবন সংশার বহু দূর।