সম্মান করি আবার ভালোও বাসি
মা'এর এ জাতকে খুব
যার গর্ভস্থে জমাট রক্তে রূপ নেয় মনুষ্য শিশু
ভুমিষ্ট হয়ে আমার প্রথম দেখা মা'এর এই মুখ
মিলে চরম তৃপ্তি সুখ।


দেখি মা'এর জাতটি কাঁদছে কেন না জানি
এই মা জাতিকে যারা করে না সম্মান
সে কি মানুষ?
দেখে লজ্জা হয় মানবিকতার নির্যাতন-
বস্ত্র হরণ প্রকাশ্যে জনতার ভিড়ে উৎসব মেজাজে
দিবালোকে হয় পবিত্রস্থানে
চলন্ত বাসে জ্ঞানহারা ঠেলা দেয়ে নিম্নাংশ দিয়ে
রেহাই নেই স্কুল কিবা কলেজে,
হয় ইবটিজিং এর শিকার প্রতিটা রন্ধ্রে সতন্ত্রে
কোথায় রে আজ নারীর স্বাধীনতা
ও ! এসব বাবুদের মুখে।


সজন ছেড়ে নারী যদিও এলো
নতুন আমেজে সুখের সন্ধানে
নববধূর সাজে স্বামীর মন আদর সোহাগে
স্বপ্ন বিভোর মন
মেহেন্দির রং ফেকাশে পড়ে চলে
অমানবিক যৌতুকের নির্যাতন।


আজ স্বাধীন দেশে নারী
ভোগের পাত্রে তৃষ্ণার্ত জল,
নৃত্যের তালে ক্ষুধা নিবারণে বাধ্য সে
তুমুল করতালি মঞ্চে লিপ্ত অপকর্মে,
এতো ধৈর্য্য কে দিলো,
হে নারী কবে হবে প্রতিবাদী
জাগো আজি এক্ষুণি
নয়তো পিশাচ শোষিবে রক্ত তোমার
পাজর খুলে কলিজা খাবে।


যেদিন এ-সমাজ নারীর মর্যাদা দেবে মানুষ রূপে
সেদিন নারীর মুক্তি মিলবে,
এ আমার শুধু কবিতা নয় নারীর প্রতি
অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে রোখে দাঁড়াবার বাণী।