জগতের তিন ভাগই নাকি জল,
তুমি আর আমি একভাগে,
এই যে অপ্রতুল লোনা পানি
নিতে পারে যে কেউ বিনামূল্যে
যতটা প্রয়োজন লাগে।
অভাব নেই এ জলের
কখনো বিকোবে না বাজারে-
যদি পরিশ্রুত করে লবণটা ছেঁকে নাও
কিছুটা দাম যাবে হয়ত বেড়ে।
অথবা বাস্পায়িত হয়ে মেঘপুঞ্জ
বৃষ্টি হয়ে যদি ঝরে,
মাটির ঘটি-কলস ভরে
রাখবে যত্ন করে,
যেন প্রয়োজনে কাজে আসে পরে।


অথবা এই পানিটাই যদি
চলে যায় হাজার ফুট গভীরে,
গভীর নলকূপ দিয়ে আনবে টেনে
‘খনিজ পানি’ বলে সবচে’ দাম দিবে তারে।
কিন্তু কতইবা তার দাম---
গ্যালন গ্যালন পাবে তামার মুদ্রা বিনিময়ে।


কিন্তু---
সেই সাগরের লোনা জলটাই যদি
একফোঁটা বেরিয়ে আসে
আমার টুনটুনিটার নয়নের পাতা জুড়ে,
তার দাম দিতে সত্যি আমি-
হ্যাঁ আমি, যেতে পারি মরে।
কতটা দামী---
কতটা মূল্যবান---
কি করে বলবো;
সেই শব্দটা আর না জানি-
বুকের পাঁজরটা চীরে---
এক হাতে হৃদয়টা ছিঁড়ে---
এনে দিতে পারবো,
শুধু থামাতে ওর চোখের
_______এক ফোটা পানি।


সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
০৬ পৌষ, ১৪২০ বাংলা। ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।