আধুনিকতার নামে টাইট-ফিট
জামার টানে স্পষ্ট গায়ের ভাঁজ,
রাতকানা রোগী দাদুর চোখেও
আড়াল হলনা লোভনীয় ঐ খাঁজ।
আবৃত তবু অনাবৃত প্রতি অঙ্গ
এ কেমন আধুনিক সাজ?
মুসলমানিত্বের দাবী মুখে
হকিকতে কেন এমন নিলাজ?
চলনে তোমার ঢেউ তোলে
বলনে যেন ‘পড়ল ঐ বাজ’,
ভোগের বস্তু বানালে নিজেকে
ধুলিত করলে ‘মা-ভগিনীর তাজ’।
‘নিরাপত্তা ব্যুহ’ ধ্বংস করে
দংশিত হচ্ছ রাস্তা ঘাটে আজ,
নরাধমে দোষী করিও যদি
সমদোষে করেছ তুমিও দোষের কাজ।


পড় যদি ঢিলে-ঢালা
হলে না’হয় কালোর মাঝে আড়াল,
কষ্ট না’হয় হল একটু
তবু দমবে সকল ভেজা বেড়াল।
বিদ্যা শিক্ষায় হও বিদ্যান
সাথে রেখো শালীনতার ঢাল,
‘ফরজ’ জ্ঞান অর্জনে তুমি
তোল দ্বীন-দুনিয়ার পাল।


মনেরেখ তুমিও এক মুসলমান,
জেনে রেখো, ‘সীমালঙ্ঘনে আছে খোদার আযাব’,
দ্বীন-দুনিয়া কামাই করো
শুধু গায়ে রেখো ‘হিজাব’।


সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
০৬ মাঘ, ১৪২০ বাংলা। ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪ ঈসায়ী।



দ্রষ্টব্যঃ লেখাটি মুসলিম ভাই বোনদের উদ্দেশ্য করে রচিত। ভিন্ন মতাবলম্বী ভাই বোনদের মতাদর্শের সাথে বৈপরীত্য থাকতেই পারে, হেয় করা উদ্দেশ্য নয়।