রূহের জগত বলে হয়ত, যেখানে ছিলাম
পরে শুক্রাণু আর ডিম্বাণুতে বিভক্ত হলাম।
গর্ভে হয়েছি মিলিত পেয়েছি জাইগোট নাম,
বিন্দু হতে হয়েছি ভ্রূণ, বিজ্ঞানীর উদ্ভট টার্ম
গঠন করেছি দেহ এক্ট, এন্ডো আর মেসোডার্ম।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর তর সয় না জগত আশায়
গর্ভধারিণীর উদর ভেদি ধাত্রীবিদ্যায় এসেছি ধরায়
শ্বাসকার্য তখনও বন্ধ বলে ফিটাস বলছ আমায়,
নতুন গড়া ঐ অনৈচ্ছিক পেশী সচলে কি তবে আছে উপায়,
ছিঃ ছিঃ মুখে মুখ দিয়ে পাম্পিং করছো, আমি মরি লজ্জায়।
নাভিযোগে সংযোগ নাড়ি বিচ্ছিন্ন করলে এরপর
হিমোগ্লোবিনে লাল রক্ত বেরুলো কিছু তরতর।
দিলে এন্টিসেপ্টিক পাউডার, ব্যান্ডেজ কত যে কি আর
আমার ওয়ানা শত হার্টজের শব্দে ঘরে হল থাকা ভার।
সুষম খাদ্য মাতৃবক্ষে বয়ে, দিলে মুখ সেথা গুঁজে
আমিষ, শর্করা, স্নেহের স্বাদ মিষ্ট তরলে পাই খুঁজে
মস্তিষ্ক হয় উন্নত, জাগে দেহকোষ শক্তিতে আর তেজে
পানি, খনিজ, ভিটামিনও আছে এই তরলের মাঝে।


সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, দিন, মাস এভাবেই বছর গুচে
একক, হেক্টো, কিলোমিটার ধরে চলার শক্তি গায়ে যুচে,
নিউরনগুলো হয় সতেজ, আবেগ ভালোবাসা যায় বুঝে
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আর আয়রনে ক্লান্তি গেছে মুছে।
নিউক্লিয়াস গুলি হয় উন্নত, জানে কোষ বিভাজনের মন্ত্র
মাইটোসিস আর মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় বৃদ্ধি পায় দেহ তন্ত্র,
চোখের রেটিনা, কানের ককলিয়া ইন্দ্রিয়ে, শক্তি যোগানে অন্ত্র
মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক তাড়নায়, ঐচ্ছিক পেশীর নিয়ন্ত্রনে চলে দেহ যন্ত্র।


বিজ্ঞান সকলি ব্যাখ্যা দেয়, বলে ‘ডি,এন,এ’ মূল জীবনে
‘জিন’ নামে আছে কিছু, বংশ ধারক পিতা হতে সন্তানে,
প্রশ্ন একটাই, রূহ কিরে ভাই, জানে না আজও বিজ্ঞানে
মহা এই প্রশ্ন নিয়ে বড়রাও খুব বেশী তো না জানে
সত্য যদি সন্ধানী হও খবর কর পণ্ডিত যারা দর্শনে
উত্তর দিবে ঘুরে ফিরে মহান যে প্রভু তার পানে।
নয় কিছু আর, রূহ কেবলি হুকুম খোদার বলেন তিনি কুর’আনে।
সত্যান্বেষী হও, যদি হও; ঈমান আনো সজ্ঞানে।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
১৬ এপ্রিল, ২০১৪ ঈসায়ী।