নামঃ দুই বা তিন অক্ষরের হতে হবে,
বয়সঃ দেড় যুগ হতে দুই যুগের সুযোগ পাবে,
গড়নঃ ছিমছাম পাতলা, উচ্চতায় মাঝারি,
রঙঃ দুধে আলতা আর হলুদ বরণ পছন্দ ভারী,
শিক্ষাঃ উচ্চ মাধ্যমিক নাইবা থাকুক, মাধ্যমিকটা থাকা চাই
বংশঃ স্বভাব হোক ভালো, উচ্চ বংশের দরকার নাই।


*** *** *** *** *** *** ***


ঘটক চাচা দেখুনতো আপনার খাতা খুলি
এমন কোন আছে কি মেয়ে, আছে শর্ত গুলি?


চশমার চোখ, আপন চোখ, চার চোখে খুঁজছে ঘটক চাচা,
“তিন জনকে পাওয়া গেল, দেখ হবে নাকি বাছা?”


উঁহু, এর হাসিতে টোল পরেনি, এর নাকটা বড় বোঁচা
শেষের জনায় ঠোঁটে তিল, কথায় কথায় দিবে খোঁচা।


“তবে বাবা মাফ করো আমার সাধ্য নাই।”
একটু যদি বলতেন তবে কোথায় খুঁজে পাই?
“আশে পাশে খুঁজে দেখ, না পেলে বলে যাই-
শতে শত যায়না পাওয়া, কিছুটা ছাড় দিও বলি তাই”।


দেশ ঘুরলাম, বিদেশ ঘুরলাম, বিয়ের জন্য দেখলাম স্কুল কলেজের ছাত্রী
সব গুলো গুণ আছে এমন পেলাম না কোন পাত্রী।
বয়স গড়ন ঠিক থাকলে শিক্ষা থাকে না ভালো
নামে, বংশে ঠিক হলে রঙে বড় কালো।
মনের মতো বউয়ের আশায় রয়েছি পথ চেয়ে
এত এত খুঁজে ফিরেও পাইনি যোগ্য মেয়ে।
এতদিনে বুঝা হল সকলে চায় যদি পরিপূর্ণ বউ
বিয়ের আশা অপূর্ণ রবে জগতে পরিপূর্ণ নয় কেউ।


যত যোগ্যতা চেয়েছি হয়ত আমারও তত যোগ্যতা নাই
ঘটক চাচাকে ডেকে আনো ঐ পাত্রীই আমার চাই-
যে মেয়েটা হাসি-খুশী, ঠোঁটের কোনায় তিল
মন বলেছে তারই সাথে হবে আমার মিল।
অবশেষে পেলাম একজন আর না পাত্রী চাই
কিছু ত্রুটি সবারই থাকে, পাত্রী খোঁজায় নরম হয়ো তাই।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
০১ বৈশাখ, ১৪২১ বাংলা। ১৪ এপ্রিল, ২০১৪ ঈসায়ী।