('সমাধিতে ফুল নয়' শিরোনামে লিখা লেখাটির বর্ধিতাংশ)


পুঁথিগত বিদ্যা আর পরহস্তে রেখে ধন
কিভাবে করবে ঈমান নামে আস্তিকতা গ্রহণ?
উল্টা পাল্টা বল যদি হবে নিজের মান
তবে কি গো সৃষ্টিকর্তায় আছে অভিমান?
সবকিছুতে সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টিকর্তার শক্তি
এই জানিয়া তাঁরই চরণে দিলাম সকল ভক্তি।


যে জন গেল জগত ছেড়ে, দিলাম তারে বছরে কিছু ফুল
কেন মানুষ বুঝে না আজও, 'এটা চরম ভুল'
যদি ভাব হাযির নাজির মৃতে নিয়েছে সেটা ঠিক
জানা অজান্তে যে ভাবেই করো হয়ে যাবে শিরিক।


যুক্তি তর্ক কভু বলেনা 'সৃষ্টিকর্তা কোথা?'
নিজের গভীরে চেয়ে দেখো, রয়েছেন আগে যেথা।
দিল খোদা চক্ষু মোরে, চক্ষু হল না কান
মহাবিশ্বে বিশ্বনীতি আমার খোদার দান।


মহাকর্ষ বলে বিশ্ব চলে, জ্ঞানীর জ্ঞানে বলে
'মহাকর্ষ' যেজন দিল বস্তুতে, তাকেই দিয়েছ ফেলে।
শূন্য হতে সৃষ্টি নাকি, বলে জ্ঞানী জন
শুন্যে শক্তি, দিল মুক্তি জগত মহাজন।
ক্রম সম্প্রসারিত তাই এ জমিন দূরের ঐ আসমান
আপন মহিমায় করেছো সৃষ্টি, হে প্রভু তুমি মহান।


এর বেশী জানার মত মানুষে নাই শক্তি জমা
অবাধ্য হয়েছি তোমা হতে, 'হে প্রভু কর মোরে তব ক্ষমা'...।।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
০৬ পৌষ, ১৪২০ বাংলা। ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।