গতকাল রাতে,
ঘুমটা গাঢ় হয়েছিল নাকি পাতলা?
ঠিক বুঝতে পারছি না।
ভোর বেলাতেও যে মনে আছে
রাতের দেখা স্বপ্নটি।
স্বপ্নটি কি ভয়ানক ছিল?
নাকি মধুর?
পারছি না বুঝতে।


দেখলাম আমি বাবা হতে চলেছি
স্বপ্নের মাঝেই তোমাকে নিয়ে
আমার সেকি আনন্দ!
তোমার বাবা, আমার বাবা
তোমার মা, আমার মা
একটু বাড়তি যত্ন নিচ্ছে তোমার
আর আমি তো আছিই-
তোমার দেহের বাড়তি ওজন গুলো
আমার বুকে সয়ে নিয়েছি,
যে আসছে সে তো-
আমাদের দু জনেরই ভালোবাসার প্রমাণ।


খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গেছিল,
মুয়াজ্জিনের আযানের সুরটা লাগছিল বড়ই করুণ,
যেন পৃথিবীর বুকে জন্ম নিল এক নতুন প্রাণ,
বোধহয় তখনও ঘোরেই ছিলাম।


এ কি করে সম্ভব?
চৌদ্দটি বছর আগে আমার নামটি
জুড়ে গিয়েছিল তোমার নামের সাথে।
পাঁচ বছর হয়ে এল, যা চলে গেছে
উত্তর-দক্ষিণে লম্বা মাটির ঢিপির উপর টিনের ফলকে।
তাই ভাবছি কি করে এমন স্বপ্ন দেখি,
তবে কি আজও তুমি বেঁচে আছো,
আমার মনের ভিতর?


আমি কখনও বাবা হইনি
তুমিও তো হতে পারনি মা-
ভালোবাসার প্রমাণ হয়ে পৃথিবীতে আসেনি কেউ
আজ সে ভালোবাসার প্রমাণ দিতেই
সুমহানের দরবারে চাই কেবলি তোমার ক্ষমা।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
৩০ চৈত্র, ১৪২০ বাংলা। ১৩ এপ্রিল, ২০১৪ ঈসায়ী।