"আস্-সালাতু খাইরুম মিনান্নাউম"


সাল উনিশশত সাতচল্লিশ।
ধর্মভিত্তিক দ্বি-জাতি তত্ত্বে দেশ বিভাজন।


সাল উনিশশত একাত্তর।
সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ।
পঁচিশে মার্চ কালরাত্র।
নাপাক হানাদারের বর্বর আক্রমন।
সঙ্গী জামাত, আল বদর, আল শামস, রাজাকার।
চৌদ্দই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি নিধন।
ত্রিশ লক্ষ বীর বাঙ্গালী শহীদের আত্মদান।
দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জত হনন।
ষোলই ডিসেম্বর বাংলার স্বাধীনতা অর্জন।


সাল উনিশশত পঁচাত্তর।
পনেরই আগষ্ট ভোর পাঁচ ঘটিকা,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা।
তেশরা নভেম্বর ভোর চার ঘটিকা,
জেলখানায় অন্তরীন জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা,
গুলিবিদ্ধ দেহগুলোকে বেয়োনেটে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা।
অধরা রইলো নজরুল তাজউদ্দিনের লাল মলাটের ডায়েরী।


এখনও ফজরে মুয়াজ্জিনের রোজকার আহ্বান-
"আস্-সালাতু খাইরুম মিনান্নাউম"


শত অন্যায়ের শৃঙ্খল ভেঙ্গে দেশ স্বাধীন হলো।
দেশ পূর্নগঠনের কালে ছেয়ে গেল কালো মেঘ।
স্বাধীনতা বিরোধী প্রেতাত্মা গ্রাস করলো বাংলা।
বাংলাকে নেতৃত্বশূন্য করলো পূণর্বার।


আজও সেই কালো মেঘ উড়ে এই বাংলায়,
দেশদ্রোহী আর দেশ প্রেমিক চেনার এখনই সময়।
বছর ঘুরে আবার আসে তেশরা নভেম্বর,
তোমাদের স্মরি প্রিয় নেতা সূর্য সন্তান বাংলার।
পাড়া মহল্লা ক্যাসিনো কিংবা ব‌্যাংক পুঁজিবাজার,
হটাও কালো মেঘ দেশদ্রোহী, নয় সে বন্ধু বাংলার।


সেই নিশি ভোজ, কার ছিলো খোঁজ, বিরহী এ প্রাণ,
চলো করি পার, আকাশের আঁধার, হে বঙ্গের সন্তান।


স্থান: সাভার, ঢাকা।
তারিখ: ১৮ কার্তিক ১৪২৬ বঙ্গাব্দ/০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরি/০৩ নভেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ।