ফিরে আয় বন্ধু
- - - উদ্ভ্রান্ত পথিক


চলে আয় বন্ধু চলে আয়
আবার শুরু থেকে শুরু করি
সেই আন্ধারমানিকে বাঁজি ধরে সাঁতার কাটব দুজনে,
নদী সিকস্তী মানুষের ভীড়ে আবার খুঁজবো আমাদের শৈশব
সবুজ মাঠে দেখতে যাব ভালবাসার হলুদ পরাগায়ন,
কলার ভেলায় চড়ে ভরদুপুরে দহ্মিনা বিলে যাব
গভীর জলে ডুবে ডুবে তোলে আনব শাপলা শালুক।
পৌষ মাসে খড়কুটোতে আগুন জ্বেলে পোড়াব মটরশুটি
শুন্য মাঠে উড়াবো আবার সেই লেঁজওয়ালা রঙ্গিন ঘুড়ি,
দুজনে মিলে ভাগাভাগি করে নিব নাটাই সূতা আর ডাংগুলি।
উত্তরের দীঘিতে ভাদ্র মাসে খেলব সবাইকে নিয়ে গোল্লাছূট
তেঁতুলের মগডালে তাড়িয়ে বেড়াবো ভয় ভীতির জ্বীনভূত
বৃষ্টির একান্ত প্রার্থনায় কাঁদা মেখে বিয়ে দিব কুনো ব্যাঙ ।


তুই ফিরে আয় বন্ধু, ভুল করে ফিরে আয়
তুর আগমনে সাঁজাবো আবার গাঁয়ের মেঠোপথ,
জোর করে খেলার মাঠে বিলম্বিত করবো সূর্যাস্ত
পড়ার টেবিলে ডেকে আনবো সেই ক্লান্তি ভরা আলসে ঘুম,
মায়ের বকুনী বাবার শাসনে দাদীর আঁচলে লুকাব অভিমানী মুখ।
মিথ্যে অসুখের বাহানায় সানন্দে ফাঁকি দেব গাছতলার স্কুল
রং মেখে সঙ সেঁজে ফিরিয়ে আনব সেই দুরন্তপনার কৈশোর,
লহ্মী পূর্নীর রাতে শুন্য মাঠে আবার গাঁথব পল্লীগানের সুর
খালি হাতে ধরে আনব শিং  কৈ পুটি আর শোল মাগুর
শীতের সকালে তোর জন্য ভরে রাখব খেঁজুর রসের হাড়ি
পিঠাপুলী উৎসবে আবার নিমন্ত্রণ করবো তোকে আমার বাড়ী।


সুখের দিনের বন্ধু আমার,  আবার ফিরে আয় তুই
সেই রঙিন দিনের স্মৃতিগুলো নদীর জলে ধুই
জোয়ার ভাটার নতুন মোহে আবার ডিঙ্গি নায়ে শুই,
সানকি থালায় তোর পাতে তুলে দেব বিন্নী ধানের খৈ
আম কাঠালে মেখে দিব চিড়া মুড়ি আর টক দই
জুটিয়ে দিব তোমায় আমি নতুন দিনের সই
ভাগ্যন্বষেনে দূরে  গেলেও ফিরবো আবার নিশ্চয়।।