যদি ভুলেই যাবে তবে কেনইবা মনে করলে
ধূলোর আস্তরনে ঢেকে যাওয়া বিস্তীর্ণ গল্প কথা
কেন আবার অহেতুক পেছন ফিরে তাকালে
শুনতে চাইলে বদলে যাওয়া কালের যাত্রা ধ্বনি
কি আশায় ভেঙ্গে দিলে স্বপ্নে পাওয়া বালির বাঁধ
দ্বৈব চয়নে মুছে দিলে ভালবাসার প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস।


অকারনে আবার কেন ছাঁই চাপা আগুনের পূজা কর
তুলসী তলায় দাঁড়িয়ে ধূপ সন্ধ্যায় উলুধ্বনি দাও
নীড়ে ফেরা পাখিদের কোরাস সঙ্গীত শুনে
চোখের জলে ডেকে আনো অমাবশ্যার অন্ধকার।


যদি চোখ দিয়ে না ই দেখ তবে কেন আতংকিত হয়েছিলে
বাক প্রতিবন্ধী যুবতী মেয়েটির প্রলম্বিত রজঃস্রাবে
কেন প্রতিবেশী অন্ধ যুবক অস্থির কামনায় জোসনা দেখত
কেনইবা কাকবন্ধা রমনীকূল পরকীয়া প্রেমিকের গন্ধ শুকতো
মধ্যরাতে প্রশ্নবিধ্য প্রনয় সঙ্কেত সযতনে জ্বালিয়ে রাখতো
বীরাঙ্গনার মতো পিষে দিত দূর্বিনীত সমাজের রক্তিম হুঙ্কার।


কিছু প্রয়োজন অনাবিস্কৃত থাকে শতবর্ষের আয়োজনে
নীরব প্রেমের আবেশ বাঁচিয়ে রাখে পরাজিত প্রেমিকের মননে
মেরুকরনে পাল্টে যায় ভালবাসার হিসাব নিকাশ
জটিল সমীকরন রুখে দেয় অস্বীকৃতির প্রনয় অভিসার
শেষ হয়েও হয়না শেষ স্বপ্নে পাওয়া দাম্পত্যের সুখ সংসার
প্রিয়জনের অবহেলাগুলোই হয় আগামী দিনের অহংকার।