নলখাগরার বন
---উদ্ভ্রান্ত পথিক


ঐ যে দূরে দেখবে তুমি নলখাগরার বন
যেথায় থাকে অশীতিপর বন্ধ্যা নারীর মন
যৌবনে যার ইচ্ছে ছিল যাবে বৃন্দাবন
প্রভুর নামে করবে যজ্ঞ সদা সর্বক্ষণ
ফিরবে না আর তীর্থ থেকে করবে নিরীক্ষন
পূজোঁর ধ্যানে মগ্ন থেকে হবে বিচক্ষণ!


দিন কাটিয়ে ভাবে মানূষ পাবে আপন ঘর
শেষ বয়সে খুজেঁ বেড়ায় শুদ্ধাচারের স্বর
ধর্ম কর্মে ব্যস্ত থাকে সবাইকে ভাবে পর
সাধক কহেন বোকার বেশে নারী কিংবা নর
পাপের ঘানি টানতে হবে সারা জীবনভর।


হায়রে জীবন! জেঁগে থাকা ঘুমের ঘোরে নয়
ঘোলা জলেও স্বপ্ন থাকে দূর্মুখেরা কয়
স্বর্গবাসের আশা নিয়ে নরকবাসে ভয়
জগৎ মায়া ছাড়লে নাকি স্রষ্টা পাওয়া হয়
আমি বলি মিথ্যে কথা সত্য বলি নিশ্চয়
রাতদুপুরে চাঁদের গায়ে সূর্যটাও বিস্ময়
ভোরের আলো আছে বলেই জোসনা নিভে রয়।


এইতো জীবন, টিকে থাকা জোতিস্কদের হাওয়া
আলো রেখে অন্ধকারে নির্বাসনে যাওয়া
আপন ছেড়ে পরের ঘরে সুখ শান্তি চাওয়া
চার দেয়ালে বন্দী থেকে ক্ষুধার জ্বালায় খাওয়া
মরে গিয়ে পাড় হয় মানুষ জীবন তরীর খেয়া
বেচেঁ থাকতে ফুরায় না তার স্বার্থ দেয়া নেয়া।