সেই মেয়েটি
----উদ্ভ্রান্ত পথিক


মেয়েটি কবিতার ছন্দে কথা বলতো
চৌকস শব্দ শিকারীর বেশে
ভীতু প্রেমিকের কলার ধরে টানতো,
লোমশ ভরা বুকের গন্ধ সম্ভোগে
অবিরাম শার্টের বোতাম খুলতো
চুম্বনে চোষনে বিষাক্ত নাগিনীর মতো
ফনা তুলে ফিসফাস শব্দ করতো
আর ভালবাসার নীল বিষ দংশনে
আদিম কামের আগুন জ্বালিয়ে দিতো।


মেয়েটি ছোট গল্পের মতো আবেশ ছড়িয়ে দিত
নিভে যাওয়া প্রদীপের পাশে নির্ভয়ে ঘুমিয়ে থাকতো
আর আগামী ভোরের নতুন সূর্যোদয়ে
নির্বোধ পড়শীর নরম ঠোঁটে সুতীহ্ম কামড় বসাতো
অসময়ে গলা টিপে ভেঙে দিতো আলসেমীর ঘুম।


মেয়েটি প্রতিদিন নগ্ন পায়ে প্রাতঃভ্রমনে যেত
গোমতী তীরের শিশির সিক্ত পথের দূর্বা ঘাসে
তৈলচিত্রের মতো পদচিহ্ন এঁকে দিত নিসংকোচে
ফিরতি পথের আড়ালে আবডালে আত্মবিশ্বাসে
পর্তুগীজ কলম্বাসের মতো আবিস্কারের নেশায়
শে্ন্য দৃষ্টিতে আরেকটি ভিন্ন পাঁয়ের ছাপ খুঁজতো
অতঃপর ব্যর্থ মনোরথে দীর্ঘশ্বাস চেপে ঘরে ফিরতো।


সেই তেজস্বী মেয়েটি রাত জেঁগে থাকতো
ঝুলন্ত ব্যালকনির গ্রীল ধরে জোসনা দেখতো
চুল ছেড়ে স্বচ্ছ বসনে জাগতিক বিস্ময়ে
পাশের বাড়ির নব দম্পতির প্রনয় সঙ্গম দেখতো
তৃপ্তির শীত্কারে মন্থনে রাগমোচনে পুলকিত হতো।