হে অবনী! শতবর্ষ ধরে জীবনের নানা গলি-রাজপথ ঘুরে
আবার তোমারই কাছে ফিরে আসি।


তোমারই দর্শনে জীবনের সবুজ আকাঙ্খাগুলো হয়ে উঠে উদ্ধত, উদ্ভাসিত।
তোমার অঙ্গুলির ক্ষুদ্র কিন্তু প্রাঞ্জল একটি স্পর্শের জন্য
এই আমাকে দমন করতে হয় অনেক তীব্র, চরম আকাঙ্খা।
নিজেকে তখন মনে হয় রাস্তার ধারের খেটে খাওয়া দিনমজুর
কিংবা ফেরিওয়ালা অথবা ভিখারীর মতোন।
কিন্তু পরক্ষণে মনে হয়,আমিও তো জীবনের দিনমজুর
কিংবা ভালোবাসার ফেরিওয়ালা অথবা কামের ভিখারী।


রিকশা ভ্রমণে তোমার ডান বাহু যখন আমার বাম বাহুকে করে চুম্বন,
ইচ্ছে করে তখন তোমার সোনালী হাতে একে দিই ঝিনুকের স্পর্শ।
তোমার রঙধনুকে দেখতে ইচ্ছে করে প্রতিটি ক্ষণে, প্রতি মুহুর্তে ।
তোমার পেলব ললাটের আকাশে এক বিন্দু লাল মেঘ
আমার বুকে জাগায় গাঢ় সবুজ প্রশান্তির ঝড়।
সর্বোপরি কিন্তু নয় শেষ,
তোমার সজীব কখনও ভারাক্রান্ত আবার কখনও হাস্যোজ্জ্বল অনুভূতি আমাকেও করে সংক্রমিত।


তাই, হে অবনী!
জীবনের কালো-হলুদ-নীল সব বাঁধা পেরিয়ে
আমি, হ্যাঁ আমি, তোমারই কাছে ফিরে আসি।


03/11/2003