আজ বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে
ঘুম ভেঙ্গে গেলে এক মনে বলে
সময় যে কত ফজরের নামাজের
সময় আর কতটাই বাকী এ কথা
বলেই বিছানার শিতেনের পার্শ্বে
সংরক্ষিত মোবাইল সেটটি হাতে
নিয়ে বাটন চাপলে লাইটিং হলে
চোখ মেলেই দেখতে পাই সময়
রাত্র তিনটা বেজে বত্রিশ মিনিট।
কি করি ফজরের আযান হতে
এখনও বাকী, গড়িমশি মনেতে
প্রক্ষাস্খলন শেষ করে আরেকটু
ঘুমিয়ে নেই এক মনের এই কথায়
বিছানাতে যাওয়া মাত্রই ঘুম আসে
গভীর ঘুমের মধ্যে হঠাৎ স্বপ্নের হাতছানী!
দেখতে পাচ্ছি কোরবাণীর ঈদ;
গরু কোরবাণী হচ্ছে, গোস্ত আরো
প্রয়োজন কোথায় গোস্ত পাওয়া যাবে??


এই কথাটি শুনেই এলাকার প্রতিবেশী একটি
অল্প বয়সের ছেলে এগিয়ে এসে বললো
চলেন যাই অমুক জায়গায় সেখানে পাওয়া
যাবে ভাল গোস্ত বা মাংস। যেতে থাকি তারই
সাথে বেশ কিছুটা দূরত্বে একটি জঙ্গলের সরু
পথের শেষান্তে দেখতে পাই একটি পুরাতন
পরিতক্ত বাড়ি। জন মানব শূণ্য বাড়িটিতে প্রবেশ
করতে অনেক গুলি সূরঙ্গ আঁকা-বাঁকা পথের;
ছেলেটি আমাকে ঐ সকল আঁকা-বাঁকা পথ
দিয়ে নিয়ে গেলেন একটি গোপন আস্তানায়
সেখানে কাউকেই দেখতে পেলাম না আমি
আর ছেলেটি ব্যতিতই! ছেলেটি কেমন যেন
অস্থিরতা মনে এদিক সেদিক করছে আর
মোবাইলে কারো সাথে যোগাযোগ করার
চেষ্টা করছে; আমার সন্দেহ হলে ছেলেটিকে
বললাম কোথায় নিয়ে এলে গোস্ত কোথায়?
এখানে তো লোকজনও নাই কোথায় নিয়ে
এলে ছেলেটি বললো এই তো আসছে মাংসসহ
এখনই আসবে একটু অপেক্ষা করুন!!


আমার সন্দেহ হয় ছেলেটি তো আমাকে মাংস
সংগ্রহ করে দেওয়ার নামে বড় ধরণের বিপদে
ফেলার ফন্দির ছক এঁকেছে আমাকে অপহরণ
করেছে, কি করি? উপায় কি? এখানে আর একটি
মূহুর্তও নয়!! আঁকা-বাঁকা পথে বের হয়ে যাওয়াও
মুশকিল আল্লাহর নাম স্মরণে ওকেই বলিলাম যাই
আর নয় মাংস!!
ছেলেটি পরিবারগত ভাবে আমাদের থেকে দূর্বল তাই
হয় তো তেমন কোনই আপত্তি করে নাই, আমার সাথে বের
হয়ে এলো উক্ত সূরঙ্গ হতে এলাম ঐ যে সেই জঙ্গলের
সুরু পথ ধরে এসেই দেখতে পাই একদল হাইজ্যাকার;
ভয়ংকর চেহারার কয়েকটি ছেলে আমাকে বলে ধর শালাকে
বের হল কি করে?? ঐ ছেলেটিকে বলতেই ছেলেটি বললো
আপনারাই তো আসতে দেরি করে ফেলেছেন আমি কি
রিক্স নিতে পারি উনি তো আমার বড় একবার উনার কোন
ক্ষতি হলে আমাদের রক্ষা হবে কি???


এই কথা শোনার পরও ধাওয়া করে ঐ সন্ত্রাসী ছেলে গুলি
আমার ছিল মনবল ও সাহসিকতা আমি বললাম তোমরা কারা
কার দলের লোক কে তোমাদের পরিচালনা করে পরিচয় দাও?
তাকে গিয়ে আমার কথা বল আমি একজন নবীন ল'য়ার ঢাকা
বারের; আমার সাথে বাটপারি এতো বড় সাহস তোমাদের এই কাজ করে
জীবিকা নির্বাহ কর? কেন এই কাজ কর? এখান হতে বের হয়ে আসো
আমি যমুনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার-(মানব সম্পদ, প্রশাসন ও
কমপ্লায়েন্স);
কাজ করে খাবে আমার ঠিকানা নাও কাজ করতে চাইলে দেখা করো
আমার সাথে এই কথা বলেই আমি কোন মতে আল্লাহ প্রাণটি ফিরিয়ে
দেন ঐ ভয়ংকর দস্যুদের থাবার হাত হতে জীবনটিকে।।


এরপর ঘুম ভেঙ্গে যায় স্বপ্নের কথাটি মনে পড়ায় ভয়ভয় করতে থাকে
সময় তখন ভোর পাঁচটা পঁচিশ মিনিট চিন্তা মনে ওজু করে ফজরের
নামাজ আদায় করে দোয়া দরুদ পাঠ করে ভাবলাম এইটা তো একটি
স্বপ্ন নয় এই ধরণের দূর্ঘটনা অহরোহ ঘটে থাকে অনেক মানুষের জীবনে
তাই বাঁজে স্বপ্ন বলে নিরোর্থক ফেলে রাখলে ঠিক হবে কি একটি কবিতা
লেখার মধ্য দিয়ে জনসচেতনতা মূলক কাজ মানব কল্যাণেই আসবে এক
সময়ের ভবিষ্যৎ মানুষের রক্ষা পেতে পারবে ঐ ধরণের অপরাধ জগতের
বদ-মাহিশদের হাত হতে রক্ষায়।।


তাই তো বলি হঠাৎ কেহ উপকার করার জন্যে ডাকলেই সারা নয়
প্রয়োজনটা কত; সে কেমন লোক; সহজ উপায় কি;
জেনে বুঝে করতে হবে কাজ; অন্যথায় বিপদ আসতে পারে
আর সেই আভাসেই প্রকৃত পক্ষেই আজ শেষ  রাত্রের স্বপ্নের মতন!!
হইবো সর্তক; করবো অবলম্বন সাবধানতায়; হঠাৎ কারো উপকার
নিতে করতে হবে সংশয়; হঠাৎ বন্ধু কখনই বন্ধু নয়; হতে পারে না বন্ধু;
হতে পারে না আপন জন; তাই এই স্বপ্ন তো স্বপ্ন নয় এই স্বপ্ন হল স্বপ্ন দূত!!
মানুষের কল্যাণে অবর্ণনীয় সর্তক হওয়ার বিপদ হতে রক্ষায় স্বপ্ন বার্তা।।
===×××===
===×××===
বাণী : নিজ জীবনের ভয়ংকর ক্ষতি হওয়ার লক্ষ্যে রাতে একটি স্বপ্নে জানতে পারলেন যা মানব জীবনের জন্যে একটি অবর্ণনীয় সর্তক বার্তা; উক্ত বার্তায় সর্তকতা অবলম্বন করে পথ চলাই শ্রেয়।।