মনে পড়ে সেই দিনটি'র আশারই আলোক বর্তিকার
কর্ম জীবন বলিয়া চাকুরী নামক রপ কথারই মতন!
কর্মরই অভিজ্ঞতা গুণের দায়িত্ব নিতে রহিতেই
একটি সংস্থানের গুরুত্ব পূর্ণ পদ-পদবী'র
নতুন ব্যবস্থাপনাতে অনন্য মননের তরে
করিবার কাজ সেই অভিজ্ঞতার আলোতে
সনটি যে ছিল দুই হাজার আঠারাের,
নয় জানুয়ারী, সময় সকাল আট ঘটিকায়'
যোগদান করি জেইএএল এ ইউনিট
(বৃহৎ শিল্প গ্রুপ অফ ইন্ডাজষ্ট্রিজ) এ
দেশের বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের
মহা-ব্যবস্থাপক-(মানব সম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স)
বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করি ঐ তারিখে।।


কত যে তড়াই উৎড়াই দোর কাঠ পুঁড়াইয়া
কর্মময় জীবন বলিয়া এমনই কথা!
প্রতিষ্ঠানে এমন কিছু কর্মকর্তা/কর্মচারী থাকে
তাদের অপ্রিয় অনাচার মূলক কর্মকান্ডে হতে হয় অতিষ্ট;
হাতে ক্ষমতা আইন থাকতেও কোথায় যেন সমস্যা?
মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বলে কথা অপরাধীদের দৌরাত্নাতে..
সঠিক কথা বললে হতে হয় স্বীকারের নাস্তানাবুদ বড়ই একখানা
অনেক ক্ষেত্রেই কিছুই থাকে না বলার ও করার।


সকল প্রতিকূলতাকে সিনিয়র হিসাবে তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ে
নিজ চাকুরী ও পদ-মর্যাদার দিকে আত্ন:পক্ষ স্খলনে নিতে স্থরতা।।
মানুষ আমরা, আমরাই ঈমানদার, আমরাই কর্মজীবি, আমরাই সত্যের
পূজারী, আমরাই মানব সেবক, আমরাই দীপ্তমান নতুন উদ্দীপণার উদ্ভাবণীর
নতুনত্বের গবেষণার বিজ্ঞানী ও গবেষক, বিচারক, নতুন মুখের রাষ্ট্র পরিচালনার
ক্যাবিনেট সদস্য বিশাল দল, রই আপামোর জনসাধারণের একজন।।
জীবনে সবই তো কম আর বেশী দেখিতে পাইলাম; পাচ্ছি!
হয়েছে অভিজ্ঞতা, শুনেছি অতীতে হলে অভিজ্ঞতা বাড়ে নাকী ভাতে সেই পুরান চালে?
কথা সত্যই বটে বর্তমানে এই প্রজন্মরা অনেকাংশে শোনে, মান্য করছে ক'জনেই!!!


বয়সের টান তো মনে ধরেছে; দেখছি কত কিছুই জীবনে; আসছি দেখে;
বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতে, মানুষ শুধুই কেমন যেন করে, পরনিন্দা, কাজে ফাঁকি,
একে অপরের তরে পক্ষপাত করিয়া নিরীহ কর্মকর্তাকে ক্ষতিতে লিপ্ত হয়েই
হয় যে বেজায় ভারী।।


এমনই হয়েছি পরিস্থিতির স্বীকারের আমি এই কর্মস্থলেই বিগত তিনটি বৎসরে
এখনই যাবে মনে হয় চাকুরী, আজিকের দিনটি হয় তো কোন মতের
আগামী সপ্তাহে থাকিবে না; ঐ সপ্তাহ পার হলেও সমালোচকেরা বলে দেখা যাক!!


ছয় মাস পার করিতে পারিবে কি?
ছয় মাস পার হইলেই বলে আরে দাঁড়া' দেখছি; কর অপেক্ষা, আর ক'টা দিন!!
নিজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের হাত করিয়া নেয় অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা;
আমি বলি নাও না সবাইকেই কোন লাভ হবে না ঐ অপরাধ মনের!!!


সততার বলে বলিয়ান হইয়া একাই ধীর মন বলে আল্লাহর প্রতি ভরসাতে'
এক কথায় বলিতে জীবনের মায়া না করিয়াই কর্ম করিয়া চলিয়াছি আজও;
একই প্রতিষ্ঠানে সিনিযর হিসাবে তিনটি বৎসর।।
ইতি পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানে অনেক জিএম প্রশাসন তিন, ছয়, নয়, বার মাস
চাকুরী পূর্ণ করিয়াছে নাই এমন কোনই রেকর্ড!!


অনেকেই বলিয়া থাকেন মালিক ম্যানেজমেন্ট সমস্যায় হয়েছে ঐ রকমের'
প্রকৃত পক্ষেরই সমস্যা হইল; এক শ্রেণীর কর্মকর্তা রহিয়াছে এই প্রতিষ্ঠানে!
তারা প্রকৃত পক্ষেই দূষ্কৃতকারী, সংঘবদ্ধ দল, তাদেরই অপরাধ এতোটাই ভারী'
এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে প্রশাসনে আসলে কেহ বানাইয়া ফেলেন খেলনার পুতুল!!!


তারা যে ভাবে চলেন সেই চলনে না চলিলে হতে হয় নাস্তানাবুদ।
আমি সময় ও দিনক্ষণ বুঝিয়া এগিয়ে চলিতে চলিতে অপূর্ব জ্ঞানার্জনে হই অভিজ্ঞ,
দেখিতে পাই রহস্যটা হইল অপরাধীদের কর্মকান্ডে বাধা পেলেই ভাল না জিএম,
প্রশাসন, এই কথা বলিয়াই রটনা করিয়া মালিকের নিকট সংঘবদ্ধ হইয়া দেয় বদনাম'
মালিক তো মালিকই হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলিয়া কথা,অতশত বুঝি না শোনার সময়
নাই, তুই এটা করলি কেন? জাগে চলিয়া; যখনই যায় একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা চলিয়া
তখনই খুশিতে আত্ন:হারা হয়ে ঐ সেই অপরাধ জগতের দলের অধিনায়ক সাময়িক
নেয় দায়িত্ব, পারলে যদি দিতো মালিক পুরা কারখানার দায়িত্ব নিতো তারাই,
হায়রে মানুষ আমরা! এক সময় কিন্তু অপরাধের দায়ে যে চাকুরী চরম অপমানের
স্বীকারে, কেন হে কর্মকাচী তোমার পদের চাকুরী তুমি কর না ভাল মনে সততার সহিত!


কেন কর অসৎ পথের পায় তারায় অন্য মনে অপর কর্মচারী কর্মকর্তাতে ক্ষতি?
চ্যালেঞ্জ নিয়ে ছিলাম আসলে কি সমস্যা;
এই প্রতিষ্ঠানের মালিক না অসাধু কর্মচারীদের?
মালিক তো তার মূল্যবান ব্যবসার স্বার্থ দেখিবে সর্বাধিকার ভিত্তিতে;
তাই দশজনে যা বলেন অতো শতো যাচাই করার সময় হয় না অনেক ক্ষেত্রেই!
সেই সুবাধেই অসাধু-দুষ্কৃত কর্মকর্তা দল সুযোগে করে আসে অসৎ ব্যবহার' করে,
যোগ্য, দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তাকে চাকুরী হইতে বের করিবার করিয়া থাকে পাঁয়তারা।।


অসাধু সংঘবদ্ধ কর্মচারীরা মনের মাঝে করিয়া পোষণ রয় অপেক্ষাতে
কখন যাইবে অপর মনে ঐ সৎ কর্মকর্তা?
গেলেই বুঝি খাইতে পারিবো লুটিয়া-পুটিয়া!
দুষ্ট কর্মকর্তাতে রোষানলে এক সময় ধৈর্য ধারণে দেখিতে পাই;
ফাটল ধরিয়াছে দুষ্টচক্রের দলে, গোপন কথা ফাঁস করে একে অপরের'
চলতে থাকে মনোমালিণ্য! চাকুরী ছাড়িয়া নিজ হতেই যায় চলিয়া'
বাড়িতে বউ ছেড়ে গেছে! আরেকটা বিবাহ করিয়াছে সেও গিয়াছে চলিয়া;
সন্তান-সংসার ছন্নছাড়ার। হায়রে কপাল কেন করিয়া ছিলাম ঐরুপ অপরাধ?
পরিশেষে বলিয়া অবুঝ প্রাণের তরে, শুধুই আফসোস করিয়া থাকে ভিন্ন মতের,
হায়রে কি করিয়াছি বিনা প্রয়োজনে? ভাল ভাবে চাকুরী করিলেই আজ এমন হইতো না।


তাই তো বলি ভাল কাজ করি! স্বভাবে সুন্দর হই! পরের ক্ষতি না করি! কর্মে হই কর্মঠ!
নোংরামী না করিয়া কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করিয়া কর্মময় জীবনে সফলতা লাভে হই মত্ত!
তবেই তো জীবনে দেখা দিবে সফলতা, অপূর্ব ও চমৎকার উন্নত জীবন
দেখা দিবে না কখনও অভাব অনাটান ও চাকুরী নাই বলিয়া বেকারের অভিষপ্ত জীবন।
এরই নাম সততায় অনড় থাকিয়া আজও করিয়া আসছি কর্ম একই প্রতিষ্ঠানে!
একমাত্র বিধাতার নিকটেই একান্ত চাওয়ায় এবং পাওয়াতেই রক্ষায় রয় যে সততার বল;
আজিকের এই দিনে হইল অতিবাহিত তিনটি বৎসর এক দিন দুষ্কৃতকারীদেরই জয় করে।
===×××===
===×××===
বাণী : শত প্রতিকূলতার মাঝেও মানুষের ক্ষতি করিয়া বড় হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হওয়া বোকামী ছাড়া আর অন্য কিছুই নয়, এর চেয়ে প্রচেষ্টা কর! সৎ হও! যোগ্যতা অর্জন কর! কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিকর! ধৈর্য ধারণ কর! অন্যায় করিও না! মানুষের ক্ষতি করিও না! দেখবে এক সময় আ্ল্লাহ তা'য়ালা অনাবিল সুখ ও শান্তিতে ভরে জীবনকে সুখী করিবে! সেই পাওয়া হইবে প্রকৃত পাওয়া একমাত্র জীবন সানিধ্যতায়।।