এই দুনিয়া রঙ্গিন জগৎ
রঙ্গ নিয়েই পছন্দ সকল
খোঁকা-খুঁকী, বালক-বালিকা
যুবক-যুবতী, আবাল-বৃদ্ধ,
বৌ-ঝি, শশুর-শাশুরী,
ননদ-দেবর, ফুঁফা-ফুফু,
চাচা-চাচী, ভাই-বোন,
নানা-নানী, নাতিন-নাতিনী,
সাথে পাড়া-প্রতিবেশী-বেশিনী।


পোশাক উপহার;
উপহার পেলে বেজাই খুঁশি অন্য মনে
দেখতে কেমন হয়েছে কি ফিট মানাবে
কেমনে? সাঁজটিতে দেখতে আয়নায়;
কালারস্, ফিটিংস, সাইজ, ইটিসি'
কেহ বলে চলবে নাও না পেয়েছো তাই
এটাই তো বেজাই খুঁশি।


আরে ভাই দেখতে কি পাচ্ছ না শাড়িটার কালার
বেশী একটা হয়নি ভাল পরিবর্তন করতে হবে!
শার্টটি একটু ঢিলে-ঢালা ঝুলেও একটু বড় কি ছিল
দরকার এই উপহারের যা যায় না ব্যবহারে।।


সময়ও নেই কি যে করি যেতে হবে টেইলার্স শপে
শরীরের সাথে মানায়ে টাইট ফিট করে আনতে
ভাল উপহারের পোশাকটি কেঁটে-ছেঁটে ছোট্ট করে
শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ দেখা যায় এমন স্মার্ট হয়ে
শাড়ী, স্যালোয়ার,প্যান্ট-শার্টেতে টাইট ফিটস
দেহ-খানাতে মনে হয় কি যে সং সাঁজা-সাঁজে
ঐ যে যাচ্ছে স্মার্ট মানুষ গুলি কি ভারী সুন্দর লাগছে দেখতে!!


অপর দিকে সেই ছোট্ট পোশাকে এক দিকে কারাে পেট বের হলে;
কারাে বক্ষ বের হলে; কারো দেখতে পাবে নাভির নিচে প্যান্ট
পরিধানে যাচ্ছে যে হিপ হতে প্যান্ট ও সেই ছোট্ট পোশাকটি সরে
কি যে স্মার্ট চক্ষু-লজ্জায় বারংবার সচেতন পোষাকী লোকের চোখ
পড়তেই শরীরের এক দিকের পোশাক টেনে ঢাকতেই আরেক
অঙ্গের অবলোকন দৃষ্টি গোচর হয়। লোক-চোখে কি যে স্মার্ট আমরা
অপর দিকে পড়া-লেখা, কাজে-কর্মে, স্মার্ট না হয়ে নিজ ও পরিবার
চেতনায় ঘর-বাড়ির ও আর্থিক স্বচ্ছলতার কথা মাথায় না রেখেই
মন ভুলানো অপর স্মার্ট রূপের দুই সাঁজুনীতে হয়ে হই ভারী কি
এক বড় মহারতি, মহাজন, মহা-নায়ক, মহা-নায়িকা, আমার কাছে
সকলেই পরাজিত অবহেলিত মানতে চাই না কোন শৃঙ্খলা।


ঐ দিকে নিজ যোগ্যতা বলে শুধুই রয়ে যায় একি যে স্মার্ট নামক
ভ্রান্ত ভাল লাগায়' অন্ধকার করে নিজ জীবনের অপ্রিয় স্মার্ট চেতনায়;
ঐ স্মার্ট বোধতা কখনই মানব জীবনকে করতে পারে না বাস্তব জীবনের
যশ:খ্যাতির অনন্যার একজন প্রকৃত মানুষ; তাই তো বলি সমাজকে দাও'
নিজে নাও; হও সুন্দর ও স্বাভাবিক পোশাকের ন্যায় পরিচ্ছন্ন স্মার্ট!
গঠন কর শরীর ও পোশাকের প্রকৃত মনের পবিত্রতা তবেই তো আর
শুণতে হবে না একি স্মার্ট পোশাক নামক আত্ন:কাহিনীর গল্পটা।।
                     ===×××===
                     ===×××===
বাণী : একজন মানুষ পোশাকে স্মার্ট না হয়ে সভ্যতায় লজ্জা নিবারণের জন্যে শরীরে মার্জিত ও স্বাভাবিক রুচি সন্মত পোশাক পরিধান করেই সমাজে চলাফেরা করা শ্রেয়। যা মানুষকে পরিমার্জন ও গাম্ভির্যতার প্রকাশ ঘটায়।