আজ সকাল সাতটার সময় রাস্তার কোণে দেখা
একজন বয়স্ক চল্লিশ কি পঁয়তাল্লিশ বয়স হবে!
তিনি দাঁড়ায়ে রয়েছেন পাঁচ-ছয় মাস বয়সেরই
একটি শিশু কোলে করে রাস্তাটির পার্শ্বে অপলক।


আমি তখন গাড়িতে অফিসে যেতে মাঝপথে ঐ
দেখা মাত্রই মনে পড়ে যায় আমার প্রিয় আপন
একান্তই আপন নানীজানের কথা স্মৃতির বন্ধন
নানীজান আমাকেও কত আদরে ভরে রাখতেন।


অনেক দিন হয় আমার নানী-নানা চলে গেছেন
পরপারে আমাকে ছেড়ে ঐ'পরপাড়ে অজানাই
রযেছি, কেমনটি আছেন তারা, আমি নেই পাশে?
এতোটা আপন ছিল নানী-নানা আমার এ'ধরায়!


শিশুকাল হতে নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠা মন
তাইতো একান্তই আমি তাদের আপন ছিলাম।
মা থাকতেন বাবার কর্মস্থল শহর ঘেষা বাসায়
আমি থাকতাম নানা বাড়ি মামা-খালা স্নেহতরী।


এমন করেই আমার শিশুকালটি কাঁটে অসম্ভব
এক অনন্য স্নেহ মায়ামমতায় ভরা দীঘি সমান!
অভাব ছিল না কখনো মায়ের স্নেহ মনটি সেথা
নানী-নানার নয়ন মনি জীবন যেন ধ্বনিত সুখী।


তারপরও মায়ের স্নেহ খুবই তারা করতো প্রাণ
আবার হঠাৎই ভুলে যেতাম নানী যখন দিতেন
জাকির নামটি ধরে নানাভাই আমার কোথা'রে
আয় আমার কাছে সোনা নানাভাই চল যাই ঐ'


পাড়ায় বেড়ায়ে আসি দেখি তোমার ঐ'বাড়ির
নানী-খালামনিরা কি করছে? অনেক স্নেহ ভরা
এই জীবন। নানী থাকতে আমি কর্মজীবন সবে
মাত্রই পদার্পণ। এক সময় চক্ষুরোগ চিকিৎসায়


আমার জীবনের প্রথম রোজগার টাকায় সেবা
দিতে পেরে যেন আমি মহা খুঁশি হয়েছিলাম।
সত্যই আজ ঐ'রাস্তার পাশে দাঁড়ানো বৃদ্ধকে
দেখে নানীজানের স্মৃতি আমাকে ব্যাকুল করে।


আমি ব্যতিত বুকটি হতে মায়া শ্রদ্ধা দায়বদ্ধতা
সকল কিছু হতে দু'টি চোখের সামনে ভাসছে!
নানা-নানী তাদের পরপাড়ে চলে যাওয়া এক
অভাব আমার হৃদয়টি অপূরণীয় মহামূল্যবান।


এমন এক মায়ার বাঁধন নিরাপদ শিশু আবাসন
পৃথিবীর অন্য কোথাও মেলানো অসম্ভব সেথায়।
সেই হলেন নানী-নানা-খালা-মামা-পরিবারটিই
হে আল্লাহ্ বেহেস্তনসীব করিও উনাদের একান্তই।
×××××××××××××××××××××××××
বাণী: স্বর্গের আশা করাটা যায় এই দুনিয়াতেই। সবই যদি মানুষ আমরা বুঝি ও চলি জ্ঞান বুদ্ধি খাঁটায়ে। সদা সত্যের পথে অবিচল। আর কঠোর পরিশ্রম বিনিময় অর্জনে এবং আপন গুরুজনাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে পরিবার সুন্দর স্বভাব চরিত্রের প্রতি মর্যাদাবোধ রেখে আল্লাহর আদেশের প্রতি অবশ্যই মান্যে। সেই সকল লোকেরা কখনো বেহেস্ত পাবে না এই শব্দটা আমার অজানাই রয়ে যাবে। অবশ্যই আল্লাহ্ চান'তো বেহেস্ত অবধারিত।।