যখন বয়সের ছিলাম শিশুকালের
সেই ছয় কি সাত বৎসরের শিশুটি!
কোন মতে বুদ্ধির রং দেখা দিতে থাকে'
কচি-কাঁচা আনমনা সেই শিশু মন ও প্রাণে।


ঐ বয়স থেকেই এসেছিল ভাবনা মানুষ
হয় মানুষের তরে; তবে কেন এক মানুষ
হয়েই করে থাকে অপর মানুষের সাথে ছল'না?
দেয় অপবাদ, করে থাকে মিথ্যাচার, হয় ঝগড়া
করতে দেখি জমির সীমানা, গাছের ফল, হালের
গরু চুরি, সুন্দরী স্ত্রী, মেয়ে, বেদখল বলে কথা;
লুকোচুরির অনৈতিক প্রেমের মত্তে, হিংসা করে
একে অপরের প্রতি হিংসার প্রজ্জ্বলিত প্রদীপের
বাতি দেয় যে ছুরে, করে না কোনই দ্বিধাদ্বন্দ'
কেহ কাউকে ব্যাঙ্গ করেই অপবাদ দিয়ে হাসতে
হাসতে হয় আটখান।


ভাল কাজের কথা বলে বের হয়েছে ঘর হতে!
সাথে করে নিয়ে গেছে ছোট সোনা বাবু বলে,
মনে হয় আমি শিশু বুঝতে পারছি না কিছু!
তাই তো মনেতে যত অকথা রয়েছিল বিনা
কারণেই একে অপরে ফিসফুস করে আর
দু'টি চোখের পাতার আড়ালের নয়নের মনি
দু'টি ডানে-বায়ে ঘুরায়ে আসে-পাশে কেহ
দেখছে কি না সেই ভয়ে অমন করে থাকে।


ঐ কান্ডে আমি শিশু সোনা বাবু অবাগ নয়নে
না বুঝার ভান করে ফ্যালফ্যালে রই তাকায়ে।
ওরে মানুষ আমরা! কেন এতো গোপন এক জা
আরেক জা'তে, এক ননদ আরেক নন'দে, এক
চাচা আরেক চাচার সাথে, এক প্রতিবেশী আরেক
প্রতিবেশীর ক্ষতিতে! কি লাভ করেছো ঐ রকমের
করে? কই; আজ তো বড় হয়ে দেখতে পারছি সেই
তোমরা রয়েছো তোমাদেরই সীমাবদ্ধতাতেই।


অর্জন তোমাদের হয় নাই' হয় নাই তোমাদের
সন্তানদের! ঐ অনভিপ্রেত কর্মকান্ড করে কি
লাভ করে ছিলে আজ দেখ না জীবন তোমায়
ঐ আচরণে কি দিয়েছে। কেন করি অমন কান্ড
ওহে মানুষ আমরা? আমাদের প্রজন্মরা দেখে
ওরা এতোটা জ্ঞানী হতে পারে না তাই তো
নকল ও অনুকরণ করে বড়দের পথ চলায়।


সে জন্যই এসো না মানুষ আমরা ছোট-বড়
কারো সামনে ও অগোঁচড়ে এবং আঁড়ালে
লুকানো কাজে রয় যে অপরাধ! ঐ অপরাধ'
জগতের পরিবার হতে সমাজ, মহল্লা, গ্রাম,
ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ।


জীবন-জীবিকা বলে কথা সে নেশাতে ছড়ায়ে
পড়ি আমরা দেশ-বিদেশেতে কাজে-কর্মে। আর
সে নেশায় ঐ যে পরিবার, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন,
উপজেলায় ছড়ায়ে দিচ্ছি আমাদের সেই ছোট্ট বেলা-
কার বদাভ্যাসের অপশিক্ষার আচরণের কর্ম-কান্ড।


এতো আইন নিয়ম-কানুন তারপরও অফিস-আদালত,
শিল্প-কলকারখানাতে দেখায়, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী,
বাদক, সুরেলা, নায়ক-নায়িকা, নৃত্য শিল্পী, ক্রীড়াবিদ,
অনেক উচ্চ শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবি, রাষ্ট্র নায়ক, ধর্মজ্ঞানী,
এতো সুন্দর বলে কথা! পিছন ঘাটলে অপর পিঠে বলে
যে অন্য কথা' কোথায় রক্ষায় চলবো পথ! বল না?


ঐ সেই যে শিশু কাল হতে, অদ্যবধি ভেবে আসছি
কেন আমরা মানুষ করে আসছি মানুষ হয়ে মানুষের
অকল্যাণ? কেন করে থাকি অমন কর্মকান্ড। তাই তো
শুধুই শেষ হয়েও হয় না শেষ আমার মনের ভাবনা।
===×××===
===×××===
বাণী : মানুষ অনুকরণের ওস্তাদ! তাই শিশুদের সামনে বড়রা কোন অবস্থাতেই অনৈতিক কথা-বার্তা ও অপরের ক্ষতিকর কর্মকান্ডের ধ্যান-ধারণা করা সঠিক নহে। যা একটি শিশুর তথা ভবিষ্যৎ মানব জীবনে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এমন ভাবেই যা ঐ সময়ের শিশুকাল (ছয়-সাত) বৎসর বয়স হতেই আমায় ভাবায়ে ছিল। ঐ সেই জায়গা হতে শিক্ষা নিয়ে বাস্তবতায় মানুষের প্রকৃত রুপ তুলে ধরে মানুষের সুন্দর জীবনের ক্ষতির হাত হতে রক্ষায় সুপারিশ রাখতে সচেষ্ট থাকবার ন্যায় সচেতনতায় এই কবিতাটি উপকারে আসবে বলে প্রত্যাশা।