যার প্রতিদান পাবার সেই যদি প্রতিবাদী হয়;
কি করে প্রাপ্য হবে প্রতিদানের?
কে করবে উপকার?
কেন করবে!!


কিসের জন্যে করবে?
প্রতিদান-ই-হবে-এক-বিশালতার!
বিশালতা বলতে মনের মাঝে কি সেই হৃদয়;
যায় না বলা, বলতে পারে না অনেকেই;


কাকে বলবে; বলার নাই কেহ যে;
মন যে আমায় বড়ই কষ্টে থাকে!
যে উপকারী আমায় করেছে আপন মনে..
মন থেকে দোয়া! আল্লাহর দরবারে;


সে কি পাবে না প্রতিদান আমায় হতে?
যৎ-সামাণ্যই করুক না কেন!
যে বড় ভাই না থাকলে হতো না
ছোট ভাইদের বড় হওয়ার স্বপ্ন পূরণ


জীবন চলায় একাকিত্ত্বতায়
যেখানে কষ্ট দূরহ:ব্যাপার
সেখানে আবার তিনটি ভাই
একটি বোন ও মা;


সাথে আত্নীয় স্বজনেরাও।
পড়া-লেখার খরচ যতদুর সম্ভব
দেই নাই কোন কাজে অপ্রাপ্ত বয়সে
পোশাক-আশাক, আবাসন


নাগরিক সকল সুবিধা সবই দিয়েছি তাদের
তারা তো সবই ভোগ করেছে
অনুপোযুক্ত বয়সেই মানুষ না হয়েই
সংসারের কারও প্রতি খেয়াল না রেখেই!


অল্প না বয়সে নিজ ইচ্ছায় বিবাহ-শাদী করে
নিজ সংসার করছে যে তারা
কোন দায়-দায়িত্ব নাই তাদের
তারপরও কথা হলেই বলে বসেন;


কি করেছেন আমাদের জন্যে
শুনতে হয় তাদের মুখের বুলিতে
আমি না কি অপদার্থ
তাও তো উপকার;


আমি কেন দিবো না প্রতিদান তাঁর?
আমরা মানুষ হয়েও করছি অপর মানুষের অপকার;
আর যেই করলো উপকার;
করতে না পারি তাকে উপকার!


দিতে না পারি প্রতিদান;
আমায় দ্বারা হয় না যেন ক্ষতি তাঁর।
প্রতিদান কি মুখে মুখে বলে দিতে হয়?
ভাষা হয় ভিন্ন, নয়নে নয়ন মিলালেই বুঝা যায়!


কি যে আপন মনে হয়;
যেখানে থাকে না অর্থের কম-বেশির ঘাটতি;
থাকবে না খাওয়া ও পরার হিসাব!
আমরা যে সকলেই এক অন্য ভূক্ত;


সেই যে ছিলাম পরিবার,
আজও আছি, আগামী দিনও থাকবো কি?
একে অপর কে আপনালয়ে;
বাস করার সেই স্বপ্ন বিভোরে,


দিতে চাই যে প্রতিদান!
সেই জন আমি এক ভিকারী;
ঋণ শোধ নহে; দায়িত্ব আমায়,
না হারানোর উপকারীকে!


সে-টা-ই-হ-বে-জী-ব-নে-স্বা-র্থ-ক-তা,
দেওয়া হবে উপকারের প্রতিদান;
নিবিড় সম্পর্ক যেখানে সব সময়ই বিরাজ করবে!!
এক মানুষ একে অপরের জন্যে!


এ কি অপদার্থের কাজ;
যে না কি নিজেকে সর্বস্ব শেষ করে
করে আপন জনের উপকার তাকেই বলে অপদার্থ
এ-র-ই-না-ম-কি-প্র-তি-দা-ন; হল-অপদার্থ্ হতে।।


         ==***==


বাণী : উপকারীর উপর ভুলে গেলে চলবে না; মনে রেখে ভবিষ্যৎ পথ চলাই শ্রেয়।।।