বাংলার নববর্ষ শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ, আজ মনে পড়ে সেই ছোট্ট বেলাকার কথা'
সেই দিন গুলির কথা; যতই দিন যাচ্ছে; ততই যেন হারাতে বসছে বৈশাখ আনন্দ।
বিনোদন উৎসব উৎফুল্লের মহোৎসব মর্ম, অতীত নেই প্রজন্মদের জানা; ওরা চায় না
জানতে বড়দের কাছে, ওরা সীমাবদ্ধ এক' অন্য জগৎ মুঠোফোন ঘুরেই ল‌্যাপটপ মন;
মাথা নীচু হাতে কাজ চোখ ভরা যন্ত্রনা হৃদ, তবুও ভাল লাগে কি যেন নেশা নাই শখ!
কেমন যেন হারানো দিশেহারা আনন্দঘন' উল্লাস হতাশ প্রেরণায় জাগ্রত মহা বিরহ।
মনে পড়ে নানা বাড়ি যেতে পথি মাঝের; সেই ফুলবাড়ি রিষিবটতলার বৈশাখী রথ'
যেতাম মেলায় বৈশাখী হাওয়ায় উড়াতাম। ঘুড়ি মন মাতায়ে যেন খুঁশি তেমন মনে।
তখনকার দিন গুলি ছিল পরিপূর্ণ আম-কাঠালে ভরপুর; নানা-নানীর আদর ভরা
নানাভাই শোন যাও মেলায় গাছের পাকা-আম নিয়ে, প্রথম সাজেরই আম মেলায়
বিক্রি করে যে টাকা পাবে সেই টাকায়,এনো কিনে বাতসা মসজিদে মিলাদ দিব।
আমরা ভাই-বোন, মামা-খালা-নানা-সাথে, প্রতিবেশী সহপাঠি বন্ধু মহল একই হৃদয়
টান প্রাণের আপন আস্তাদন যেন মহালয়; বৈশাখ মাসে কতটাই আনন্দঘণ পরপর
প্রায় জায়গাতেই মেলা বসে তেমনি মেলা' বসত আমার গ্রামেরই বাড়ির খলিলপুর
বাজার নামক স্থানটিতে আহা বেশ লাগত ভাল, বাংলার বৈচিত্র হরেক রকম খাজা,
মাটির বাসন-কসন-খেলনা-ঘূড়ি-গহনা। নানান রকমের তালপাতার হাত পাখাসহ
নকশীকাঁথা, ঢোলনা চড়া, ছাড়কাস খেলা, হাতির পিঠে চড়া, ঘোড়া দাবড়সহ লাঠি
খেলা শোভা মন পেতাম আপন ভূবন। আজও পালিত হচ্ছে বৈশাখ তবে ভিন্নে
অতীত সেই দিনের মত আজ আর সেই' আনন্দ নেই সময় যেন অনেক পরিবর্তন!
বৈশাখ এসেছে মেলা বসবে, আনন্দা মন, জাগ্রত সেই হৃদ যেন অনন্য শোভা প্রেত
ইতিহাস স্বাক্ষী সংরক্ষণে অতীত বৈশাখ। আনন্দ-ঘন-স্মৃতির ঐ'তিয্যের মর্মকথা
বর্তমান আর সেই ঐ'তিহাসিক ইতিকথা, রাখি যেন ঐ'তিয্যবাহী পার্থক্য লিপিবদ্ধে।
বৈশাখ যেন বাংলার আপন ঘর রুপ সাজ। বরণে বাংলা মায়ের একান্তই রুপ-লাবণ্য
ধরে রাখা জোয়ার যৌবন স্মরণে বরণীয়। শোভা ভরা ঐ'দামাল সন্তানেরা বিনোদন,
মাতায়ে শোভা-যাত্রা-প্রেমময়-স্মৃতি সেই।
×××××××××××××××××××××
বাণী: বৈশাখ মানে বাংলার আপনত্ব। স্বদেশ সত্ত্বার জাগ্রত বাঙ্গালীর জাতির স্বাধীকার। নিজস্ব সাংস্কৃতির রুপ। যার ঐ'তির্য্য ধরে রাখতে বাংলার প্রতিটি সন্তানের অবশ্যই পালনীয়।