শাকের ভিতর ভূত;
একদিন শুভক্ষণ দেখা মন বলে
বিবাহ বলে কথা যাবো দেখতে
মেয়ে। যাবে সাথে খালাতো ভাই
প্রিয় মামাজান্ও রয় ঘটক সাঁজ!


মেয়ের পক্ষের লোক বটে আবার
ভাগ্নে ছেলে পক্ষেরও বেশ মানান।
সকাল সকাল রওয়ানা হলাম বেশ
সাঁজুগুঁজু সেরা আমরা তিনজন এক।


অনেক কথা কি বলবে, কি ভাবে
দেখতে হবে মেয়েকে? নজরানাও
বা কেমন কতটা দিবে নাকি কতটা?
শতক মন হাজার কথা পূর্ণতা মন।


শুদ্ধতার এক অনন‍্য বুলি সেই মনে
একে অপর কই কথা গল্প-স্বল্পের।
গেলাম মেয়ে বাড়িতে দুপুর ছুঁইছুঁই
আমন্ত্রণ জানালো গ্রহণ স্বাদর জনা।


বসতে দিলেন সম্মান প্রেরণে শতধা
অপরূপ অনন‍্য সেরার এক চমকের।
অনেকের মাঝে অনেক কথা ছেলে
এসেছে দেখতে মেয়ে ভারী মজার।


আমরাও দেখবো কেমন! ছেলেকে
এ বাড়ি ও বাড়ির লোকেরা এলো।
সরাগম গ্রামের বাড়ি বলে কথা রয়
আমরা সকলেই জানি গ্রাম-গঞ্জসম।


আচার-আচারণ প্রতি ধ্বনি স্বরূপে
এরই মাঝে খাওয়া-দাওয়া পর্বের
জরূরী কাজটি শেষ করেই দ্বিতীয়
পর্ব মেয়ে দেখা তাগাদা অপেক্ষতা।


এলো মেয়ে পক্ষ হল কথা দেখা
মেয়েকে। পরিচয় ভাল-ভাল-শব্দ
চয়নে মাধূর্যতায় ভরা লাজুক নয়ন
গার্ডিয়ানেরা বলছেন একে অপরে।


জানা-জানি হচ্ছে বেশ উভয় উভয়।
শত কথা না হলে হয় না শুভবিবাহ।
সেই চেতনাতে তাই তো চলমানেই
সময় যেন বলছে কথা শেষ করতে।


মেয়ে দেখা হল; বেশ ভালই লাগলো
তারপরও কতকথা কতজনার শেষান্তে
ঐ' মজলিশে এক রমণী বলেন শোনেন
বুঝেছি কেমন মেয়ে চাইছেন আপনারা?


কেমন যেন মনে হল ঐ'রকম বুঝটিতে
উপযাচক হয়ে একটি বাড়িতে অপরের
বাড়িতে এসে সেই মেয়ের বিবাহ ভেঙ্গে
অপর মেয়ের প্রশংসায় পঞ্চমূখ বেশহবে।


আপনাদের ফ‍্যামিলীর সাথে ঐ'ফ‍্যামিলী
ও মেয়ে বেশ মানাবে। যেমন ছেলে ঐ'
মেয়েও তেমন! পরিবার ভাল নাম করা
দেখতে পারেন মেয়েটা বেশতো মানাবে।


কেনরে বোন তুই এলি এক প্রতিবেশীতে
অপর মেয়ের দেখতে আসা ছেলেকে কেন
তুই আরেক মেয়ের কথা বললি ছেলেদের?
মনটি করে দিলি দো-দূল্লের নোংরা মনের?
****************************
বাণী: শত্রুতার জন‍্যে দূরের মানুষের প্রয়োজন হয় না। কোন আপন জনদের উপকার করলেই। দেখবেন এক সময়ে অস্বীকার করে হিতে বিপরীত বদনাম করে শত্রুতা শুরু করে দিবেন। মন হয় কোন দিন কেউকাউকে চেনেন না এমন কি দেখেনও নাই। সেই সকধল মানুষ হতে সাবধান এই সমাজ তটে।