আমার মুখের কথাই সত্য হল
আজ মনে পড়লো সেই কথা।
একদিন আমার দপ্তর পিয়নকে
বলেছিলাম কেন এমন করিস?


অল্প না বয়সে কিসের চিন্তা!
কাজ করবি খাবি-দাবী বেশ!
চলবি বুকটি ফুলিয়ে সমাজে
হবি ভাল মনের মানুষ সেই।


দেখি আসল কথার কাছে নাই
চলে মন ভুলা নাথ হৃদয়টানে।
এলোমেলো স্বভাব উড়ন্ত ভাব
একটি বললে অন্যটি শোনায়।


দেখা বিছানাতে পিঠ জমেছে
কথা বলতে ভারী কণ্ঠস্বরটি।
মোবাইল কানে ডাকলে মনে
হয় শুনতে পায় কি কোন মত।


জিজ্ঞাসাতে জানা যায় প্রেমিক
মন বেশ উচ্ছাল জীবন বেহুশ।
দিশেহারা অল্প বয়স কি উপায়'
প্রেম এতোটাই গভীরে কাঁচা।


শূন্য গোয়ালে গরু রাখা এমন
জীবন গাঁথা হয়নি এখনও শক্ত
বিবাহের বয়স-টয়স-সেথা তার
আয়রোজগার নয়তো তেমনটা।


কেবলই নিয়োজিত কর্ম জীবন
ঘন-ঘন ফোন আসে দাপ্তরিক
কর্ম করতে বিঘ্ন ঘটায়ে থাকে
কি যে উড়ন চণ্ডালী চেতনার।


চাকরী মন নেই বলে হিতকর
উল্টা-পাল্টা; কাজ করে তাই।
এমন সময় বলি বাবা যা তুই
কর্ম ছেড়ে দপ্তরের সংশোধনে।


যে দিন শুদ্ধ হবি সেই দিনেই
আসবি কর্মে; নয়তো নয় আর।
পাগলে কি আর ভয় পায় ভাই
ও সংশোধন না হয়ে যায় চলে।


বেকার ছেলে করে বিবাহ-শাদী
বউ তাই শোনে না তার কথা।
মানে না নিজ পিতা-মাতাকেও
এখন সেই ছেলেটিই এসেছে।


আমারই নিকটে বলে জনাব'
কি যে করলাম জীবনে এখন
নেই কোনই উপায় না পেলাম
বউয়ের সুখ; না মর্যাদা জীবন।


তখন বলেছিলেন বুঝিনি' আজ
এখন বুঝতে পারছি ঠিক কথাই
বলেছিলেন। সেইদিন শুনতাম
আজ স্বীকারে যন্ত্রনা পেতাম না।
×××××××××××××××××××××××
বাণী: চলমান..