সকালে ফজরের নামাজ শেষে
রত দু'টি হাত আল্লাহর দরবারে
তুলিয়া করি ফরিয়াদ! হে আল্লাহ্
রক্ষা কর আমায়!! আমার উপরে
অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যেন সঠিক
ভাবে করিতে পারি পালন, দাও না সেই
বুদ্ধি-জ্ঞান, সামর্থ আমায়।।


করি ফরিয়াদ;
আমার দ্বারা হয় না যেন
কোনই ক্ষতি কোন মানবের!
এমন কি তোমার সৃষ্টি জগতের কোন কিছুর;
সঠিক কাজে দিও দীক্ষা রই যেন
তোমারই প্রতি একনিষ্ঠতায়;
তোমারই হুকুম আহকামে হই যেন
প্রকৃত একজন! কবুল কর আমায়।


আল্লাহর নাম স্মরণে বের হই কর্মস্থলে,
গেলাম বাড়িতে, হাট-বাজারে, দোকান-পাটে,
বন্ধু মহলে, প্রতিবেশী সকলের, দেখিতে পাই
সকলেই যেন খুবই ভাল! প্রেষণাতে রয় যে
তাদের ধান্দা অন্য রকমের! তাদের কথায়
একমত না হলেই মুখের উপর বলেই বসে!
কড়া-ভাষাতেই তিরস্কারে উনি বা সে লোকটি
ভাল নহে। আহা কি অপরাধ আমায় দাও না বলে?
অপর পিঠে বলেই বসে কি বলিবো তোকে বা
আপনাকে? যা পারিস তাই করিস যা এখান থেকে।


সকলেই সত্য বলে শুধুই মুখে মুখে! সত্য জানাতেই
থাকে দূরে, অন্যায় কাজে মত না দিলেই বুঝ না মেনেই
ভ্রান্তে তারা অন্যত্রে অন্যের নিকটে মিথ্যা বলে; বলেন,
উনি লোক ভাল না! ব্যবহার খারাপ, বকা দিয়েছেন আমাকে।।
যার মুখের ভাষা ভাল নহে; সেই আবার ভাল মানুষ হয়
কিভাবে? হায়রে মানুষ; আমরা নিজেকে না চাই জানতে,
না করি চেষ্টা বুঝিতে! অবুঝ মানুষ আমরা কবে হবো
যে বুঝমান। অপ্রিয় কার্যে সায় না পেলে, দিবো না সেই
ব্যক্তিকে অপবাদ; মিথ্যাচার ও বকা দিয়েছে বলিয়া;
তিনি লোক ভাল না এই কথাটি বলিবো না আর'
অন্য মনে রটনা করিবো না উনি বকাবাজ যে।।
===×××===
===×××===
বাণী : যদি আমি সঠিক কাজ করি ও বুঝি তাহা হইলে এমন কোন বাপের ব্যাটা আছে পৃথিবীতে যে কাউকে অন্যায় ভাবে বকা দিবে! উনি লোকটি খুব খারাপ; যায় না বলা কথা উনার সাথে; কথা বলিতেই রাগ করে, দেয় বকা যে। তা বেশ এমন কি যে চাও সেই লোকের কাছে যা তোমার চাওয়ার সাথে, সে পারে না তোমার কথা রাখিতে। তাই তো বলি এমন কাজ নাহি করি' অপ্রিয় কথা বা আবদার হতে বিরত থাকি, তবেই তো হবো না অবুঝ! শুনবো না বকা! বকাবাজের।