কে কোথা হতে এসেছে?
কার বাড়ি কোথায় যেন?
ভাবতেই অবাক লাগে!
পাই না কোনই যে উপায়।


সেই চেতনায় ভাবতে গেলেই
মাথাতে তাল ঘোর পাক খায়
কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে
চায় না আমার মন ও প্রাণ।


সমাজে অনেকেই বলে থাকে
অমকের ছেলে বংশীয় ঘরের
বাবা-দাদা ভাল ছিল সেই তরে
ঐ ছেলেটিও ভাল হয়েছে।


প্রকৃত পক্ষে ঐ বংশ বলে কথা
চেষ্টা করলাম মিলা মেশাতে ঐ
পরিবারের সাথে বংশ নামের
ঐতিহাসিক ঐতির্য‍্যকে স্মরণে।


দেখতে পেলাম সকল বংশেরই
লোকের মাঝে চরিত্র একই রকম
রক্ত সঞ্চালনের রীতি-নীতি বিয়াদবী
দুষ্টবুদ্ধির, কুবুদ্ধির, লুচি খাওয়ার


স্বভাব, নারী পিপাসীতের টানেরত,
পেয়াদা ব‍্যবহার, দুষ্ট-মিষ্টের ছলচাতুরী।
সবই আছে ঐ বংশ নামক লোক গুলির
মাঝে তবে কি করে হয় ভাল নামক বংশ?


আমার মাথায় ধরে না' আমি মেনে নিতে
পারি না! এক কথায় আমি বলতে চাই
আমরা আল্লাহর বান্দা সৃষ্টির সেরা জীব
আশরাফুল মাখলুকাত! পরিচয় মানুষ।


বংশ মর্যাদা হল মানুষের দেওয়া খেতাব
যা কখনও সৃষ্টিকর্তা ঐ নাম-ডাক বংশের
নাম করণ দিয়ে কোন মানব জাতিকেই
দুনিয়াতে পাঠান নাই। তাই আমরা বংশের।


বড়াই না করি। করি নিজ যোগ‍্যতা অর্জন
করি ভাল কাজ হই সমাজ সচেতন সম্পূর্ণ।
তবেই জয় হবে মানব জীবনের মর্যাদা বাড়বে
মানুষের তরে, বংশ আছে যোগ‍্যতা নাই সেই
বংশ দিয়ে কি হবে ভাই? সেই তরে বংশ মর্যাদা
বুঝি না বুঝি কর্ম-মর্যাদা কর্মই বড় ধর্ম বংশ নয়।
===×××===
===×××===
বাণী : ওরে মানুষ রুপের পশু! মুখে বল তুমি সৈয়দ, চৌধুরী, মিয়া, মোল্লা, খাঁন, মুন্সী, পাঠান, মোঘল, ঠাকুর, কায়স্ত, কুমার, দাস ইত‍্যাদি। ঐ সব বংশ টংশ বড় কথা নহে। বড় কথা হল ভাল মানুষ হওয়া ও কর্মঠ হয়ে সমাজে সুশৃঙ্খলাতে সঠিক নীতি-নৈতিকতাতে জীবন-যাপন করা। তা না হলে বৃথা বংশ মর্যাদার নিয়ে অহেতুক কথা বলে সময় নষ্ট করা ব‍্যতিত অন‍্য কিছু নহে।