আহা!!
কি যে আনন্দ
মন ভরে যায়
বর্ষার মৌসুমে
নদী-নালা, খাল,-বিলে,
হাওড়-বাওরে, ধান-ক্ষেতে,
পুকুরে-ডােবাতে কানায় কানায়
পানি যে হয় ভরা পূর্ণিমার ন্যায়
যৌবন যেখানে জোঁয়ার
ভাঁটায় রুপ নেয় এক
সদ্য-বিবাহিত-ভরা-পুয়াতির ন্যায়
মায়াবর্তী সেই অনন্য
মনের হায়-রে!!

ভাবতে অবাক লাগে
বর্ষার পানির যৌবনের
বেঁজায় গানের শোঁভাতে
স্রোতধারায় প্রবাহিত
জল-রাশির অপর
প্রান্ত হতে পানি পোকা;
কত শত মাছ নানান
রকমের জাত-প্রকারের
সুস্বাদু-মিঠা-পানির-দেশীয়
মাছ যেখানে আমরা ক'জনা
কোন আঞ্ঝলিক ভাষায়!!

ঘুণি, ধোয়ার, স্রোত-ধারার
বিপরীত মুখে ঘূণি নামক,
উছা, পল-বাইছ, ভ‍্যাসাল,
নেট বা কারেন্ট জাল পেতে ফাঁদ বসায়ে
সেই ফাঁদে ধরা পড়ে কত শত
রং-বে-রং-এর নানা জাতের :
পুঁটি-টেংরা, চিংড়ি, মলা, রয়না, খঁয়রা
বাইম, ষোইল, রুই, কাতলা, বাজারী
ট‍্যাংরা, লাঠা-টাকী, তাঁরা বাইম, বোয়াল,
দেশীয় (জেতে-টাকী), গজার, টেপা!!

প্রকৃতি হতে প্রাপ্য যে
তরু-তাজা দেখতে বেজাই
ভারী চমৎকার, কি যে লাফা-লাফি
করতে খেলায় ছুটে যেতে চায়
তারই বসত বাটি জলারাশিতে
আর আমরা এক প্রকার মাছগুলির
অনিচ্ছা শর্তেও খালই ভর্তি করে
বাড়িতে আসি নিয়ে যা আমরা
মানুষ আমাদের স্বাস্থ্যের কল্যাণে
করে আমিষের ঘাটতি'র অভাব পূরণ।।

বর্তমানে বন্যার প্রভাব ক্রমেই
কমে যাচ্ছে সেই সুস্বাদু
মাছের অভাব দেখা দিচ্ছে
এসো বন্যা এসো প্রতি বৎসর
মানবের কল্যাণে করে যাও
দান; যা নাকি রয়ে যাবে
বিধাতার দরবারে রবে
তোমারই চির অবদান।।

===×××===
===×××===

বাণী : প্রতি বৎসর বন্যায় পলি জমে করে ফসলের জমি উর্বর; দেশে প্রতি বৎসর (নিয়ম-তান্ত্রিক) কতায় মানবের কল্যাণে বন্যা হওয়া কাম্য।।