ঐ'যে আসছে দেখতেই পাচ্ছি
ঐ'পাড়ার সেই যে আমাদেরই
এক চাচা। তিনি যে বড়ই এক
জন ভারী মজাদার চাটাম বাজ!


কথায় কথায় বলে সে যে আরে
তোমরা কি জানো? আমি যা বলি
তাই শোন। আমার বাবার বাবার
ছিল মস্ত বড় একটি পুকুর।


জন্মাতো সেই পুকুরে বড় বড় ইলিশ!
আজ-কাল পুকুরে তো বাড়ির কথা
নদীতেও দেখতে পাওয়া বড়ই অভাব!
ঐ'চাটাম বাজ চলে যে নিজ গতিতেই।


আরো কতশত গল্প করে; করে নানান
ছল-চাতুরী; শুধুই তার মাঝে ভাবনায়
রহে মিথ‍্যা আর মিথ‍্যায় ভরা দাম্ভিকতা।
চাটাম বাজের নেই যে কোনই নিজস্বতা।


করে না তেমন কোনই কাজ-কর্ম!
মুখটিতে দুষ্ট হাসিতে আট-খানা।
হাসি যেন ঠোঁট হতে নামতেই অনিহা'
চলা-ফেরায় ডাটা-পুঁড়িতে ভরপুর।


ঐ' দিকে নেই বাড়িতে তেমন কোনই
থাকার ঘর। কোথাও গেলে বেড়াতে!
বলে থাকেন গল্পে-টল্পে-স্বল্পে কাহারো
জিজ্ঞাসাতে! আরে ভাই খাই-না-খাই...


থাকি দু'খানা ইটের নীচে। হায়রে চাপা
বাজ! ঐ'দিকে রয়েছে একখানা শুধুই
ছোনের ঘর: সেই ঘরটিও অযত্নে খুলে
পরতে শুরু করে চালের ছোন-ছাউনি'


বাতা। সেই ছোনের ঘরটিও মেরামত
করার নেই তেমন যার আয়-রোজগার।
ঐ'সেই চাটাম বাজই আবার বলেন যে'
কোন মনে' খাই-না-খাই থাকে না কি


দু'খানা ইটের নীচে? লোকে ভাবে লোকটি
বুঝি বেজাই ভারী জমিদার। লোকজন
আসে একদিন খুঁজতে ঐ'চাটাম বাজকে।
ঐ'চাটামের কথার আর কাজে মিল না


থাকাতে বিভ্রান্তে পড়ে যান লোক জনে।
কখনও সখনও আপন জনেরাও পর হয়'
সেই ভাবনাতে চাটাম বাজকে করে ঘৃণা।
সেই মনে চাটাম বাজকে বলি আর ছেড়


না ওভাই চাটাম! ঐ'রকমের চাটাম গল্প
ছেড়ে দেখেছো তো কি পেয়েছো জীবনে?
আজ হা-হা-কার ভরা মনে দেখতে কি
পাওনা কে তোমাকে কতটাই কি বলছে?
===***===
===***===
বাণী: চাটাম-বাজ লোকেরা চাটাম ছেড়ে সাময়িক বিনোদন পেলেও। বাস্তব জীবনে তাদের  শেষ পরিনতি অনেক পীড়া-দায়ক হয়। সেই ভাবনাতে বলি ঐ'রকমের চাটাম-বাজ টিকটকের মননে না চলে সুন্দর ভাবে নিজ জীবন গড়ে ভবিষ‍্যৎ পথের সন্ধ‍্যানে পথ খুঁজে নেওয়াটাই শ্রেয় ও উত্তম।।