দুই'য়ে মিলে হয় দুষ্টামী
একা একা হয় কি?
এক হাতে বাঁজে কি তালি?
দু'টি হাত'ই বাঁজিতে রহে।
হাঁটতে গেলে পা'দুটিই যে লাগে!
একটি পা'য়ে হয় কি সহজে হাঁটা!
যৌবন রয় বলেই যৌবনাকে টানে
তাই তো যুবক-যুবতীরা বিয়ের পিঁড়িতে বসে।
ভালোবাসা কাকে বলে?
যে ভালোবাসায় হাবু-ডাবু খায় যারা
তাদের মন-ভাঙ্গা-গড়ার স্বপ্নকে বলে।
ঐ'মনে চলে সকল ভালোবাসা প্রেয়সী মনেরা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করলে
অনেকেই ভাবে নিজকে জ্ঞানী!
এই সমাজের লোকেরাও তাই'ই মনে করে
ভাল পোশাক পরিধানে সভ্যতার পরিচয় বহে!
সভ্য পোশাকের গুণে ঐ'মন রহে।
আবার খাঁট পোশাকেরই দোষে অসভ্য মন
অসভ্যতার অশোভন পরিচয়ে বহিয়া বেড়ায়
এই সমাজেরই মানুষ নামের অবুঝ মানুষ গুলিই।
কথা কয় অনেকেই সাঁজায়ে-গুঁছায়ে!
আবার কেহ বলে একেবারে আঞ্চলিকের।
কাঁহারো কথাতে মধুমাখা হাসিতে মুক্তা ঝরে!
আবার কাহারো কথাতে তেলে-বেগুনে জ্বলে।
কেহ সমাজের দাপ্তরিক কাজ-কর্ম করে
কেহ নিম্ন বিত্ত, কেহ বিভিন্ন পেশার যে জন
যে কর্ম জানে সব শ্রেণীরই মানুষ গুলিই রহে;
এই সমাজেরই গুরু দায়িত্বের মহে।।
আবার ভাবতে মন উতাল হয় আমি যে বড় পন্ডিত
নিজেই তো নিজ পিছনে তাকালেই
নিজকে কি দেখতে পাই, আপনের তরে নিজকে?
অসুস্থ্যতায় বিছানাতে কাতরানোর বেদনাতে
আচমকা হঠাৎ পা' পিছলা'য়ে পড়তে দেখলে
একশ্রেণীর মানুষ হাতে তালি দিয়ে মুসকী হাসে!
আরেক শ্রেণীর মানুষ গুলি উহু শব্দ করে টেনে উঠায়;
সেই তরে; তবে কেন অহংকার মন মানুষ মানুষে?
এই মানুষ-ই হয়ে আমরা করে চলি অহং;
মনে হয় আমাদের ছোবে না বালাই এর হিংসার রেষ।।
সেই ভাবনাতে মানুষের প্রাণ রয় কি দেহটা'তে
কখনও মানব, কখনও দানব, কখনও অমানুষ,
কখনও মুসল্লি, কখনও পশুভিত্তির, কখনও
বোকা সাধু, কখনও নিষ্পাপ সেঁজে আবার;
কখনও দানবীরের বেশে, কখনও কর্ম-অপরাধী
দাগী মনের মনো সংজ্ঞার বিলাপে সেই মানুষই
আমরা কেন করি এতোটাই অহংকার! যে অহং-এ
থাকবে না'রে কোনই দুই মিনিটের ভরসা এই জগতে!
তবে কেন করি আমরা মানুষ হয়ে মানুষের সাথে এমন?
===×××===
===×××===
বাণী: যে মানব জীবনর এক মিনিটের ভরসা থাকে না। সেই মানব জীবন কখনো অহংকারী হতে হয় না। শুধুই ভাল ভাল কর্ম করে যেতে হবে। এরই মাঝে জীবনের সফলতা লাভে ধন্য করতে পেরে সুখ-শান্তি কাম্য হলেই বিধাতার চরম উপহার বলে গণ্য হবে। অন্যথা নহে।।