শুধুই দোষারোপ কেনরে ভাই!
কেমনে কিসের নেশায় অজানা!
নিজকে চেনার উপায় না'জানা
শুধুই প্রলাপ বাক্যের আক্ষেপ।


বাবা আমার লোক ভালোনয়!
করেছিল আমার মায়ের মতন'
রুপবর্তী সুন্দরী স্ত্রী থাকতেই'
আরেকটি পেত্নী বেদেনী বউ।


তাইতো আমার জীবন এমন
ক্লাশ দশমশ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্র
আমরা তিন-ভাইবোন ও মা'
অভাবের সংসারে আরেকটি!


জীবন যেন মায়ামমতা নহে
পরচর্চায় হয়ে পড়ে লোকমুখ
চলে চোখ সূলে হরহামেশায়
আলোচনা ও সমালোচলনা।


পিতা-মাতা-মর্ম-মর্মার্থ-যত্ন
সকল জাতির সেরা আস্তাদন
আপন করে জানলেই বলি
একমাত্র তারাই পিতা-মাতা!


এই দুনিয়াতে নিরাপদ-সুখ
কোল-নীড়-তারাই আপন।
সেই না তাদেরই হতে ধৃত
এ'জীবন মান উচ্চতা নিম্নে।


আমি বলি শোন এই ছেলে
বিনা কারণে্ কেনইবা করছ
বাবাকে দোষারোপ? যখনই
বুঝলে বাবা অপরাধী সেই..


তুমি কেন তোমাকে গড়তে
হাল ধরলে না নিজ প্রতিষ্ঠায়?
রাখো তোমার বাবার বদনাম,
হতাশা নয়! কর্মফলে গড়!
××××××××××××××
বাণী: সন্তানেরা সব সময়ই বুদ্ধি করে চলতে হবে সমাজে। কারণ মানুষ সব সময় (আপন-পর) একই রকমের হয় না। নানান প্রকৃতির মানষিকতার হতে পারে। সেই জন্যে নিজ জীবন একান্তই নিজের। তাই নিজ জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সঠিক ও উত্তম কাজটি বেঁছে নিয়ে নিজ জীবনের সফলতা কামনা করাটাই শ্রেয়। অন্যথায় একে অপরে দোয়ারোপ করা পাগলের প্রলাপ বাক্য প্রচার করা ছাড়া আর কোন ফললাভ করা সম্ভব নয়।


এই কবিতাটি উৎসর্গিত: আমার কর্মস্থল একজন নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ যাইহোক (অজ্ঞাত) তার জীবনের গল্প শোনান এবং তার বাবাকে তার জীবনের জন্যে দায়ী মনে আক্ষেপ ও প্রলাপ বাক্যের প্রেক্ষাপটে এই কবিতাটির উৎপত্তি। সেই জন্যে সমাজে যদি এই কবিতাটির পাঠক জনপ্রিয়তা লাভে সফলতা পায়। সেই সফলতার ছওয়াব তাকে ও অপরাধী পিতার জীবনে পাপ হতে মুক্তি কামনা ও শান্তির নিরিখে উৎসর্গিত করা হল।।