উনিশশত আশি দশকের কথা
আজো ভুলিনি আমি।
তখন আমার বয়স আট কি নয়
আমি থাকতাম নানালয়।
আমার ইমিডিয়েট বড় ভাই তিনি
থাকতেন মায়ের সঙ্গে বাড়ি।
একদিন হঠাৎ সন্ধ্যা রাতে ভাইয়া
যায় নানা বাড়ি যা অজানা।
ভাই যেয়েই লুকান দরজা কোণে
বড় মামা শব্দটি পেয়ে কহে’
কে’রে চোর চোর বলে তেরে যান
লাঠি-সোঁটা নিয়ে আমরা!
সেই না ভয়ে ভাইয়া আমার হেসে
বলে মামা রাকিব আমি।
এই না বলে জড়িয়ে ধরে মামাকে
মামা বলে সোনা ভাগ্নে।
ঐ’দিন সেজো খালা আম্মা-খালু
এসেছিলেন নানা বাড়ি।
এক সাথে খেলাম সকল তৃপ্তিতে
তারপর গল্পে মাতোয়ারা।
সেই পর রাতভারীতে ঘুম রাজ্যে
চলি সকল যার যার মতন।
ভোর হতে জেগে দেখি ভাই নেই
ভাইয়া গেছেন খালু বাড়ি।
খালামনি নানা বাড়ি খালুর সাথে
ভাইয়া যান খুঁশিঁ বেড়াতে।
তখন ছিল বন্যার সময় সারা জমিন
চারি দিক পানি থৈই-থৈই।
খালুজান আমার এলাকার মাতব্বর
প্রাইমারী স্কুল মাস্টার মশাই।
গাঁ-গোসল সেরে গ্রাম্য সালিশ যাবেন
সেই তিনি নাস্তা খেয়ে রেডি।
বলে রাকিব কোথারে আমি গেলাম
গোসল সেরে খেয়ে নিও।
আমি চলি ঐ’যে পাল এসেছে নিতে
ভাইয়া যেন পানিতে রইল।
এমনকি হয়েছিল পানিতে ডুব দিলো
আর উঠতে না দেখে লোক!
খুঁজা-খুঁজির একপর্যায়ে পেলেও আর
ফিরে পাওয়া যায়নি প্রাণটি।
আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন চিরতরে
সেই না বিরহ স্মৃতি কাদায়!
কাদায় আমাকে সারাটি জীবন ক্ষণ
একটি শার্ট ছিল সংরক্ষিত।
ঐ’ শার্টটি যতদিন ছিল আর মনবলতো
ভাই বুঝি ভাই আমার ঐ’যে!
এমন কষ্ট কথা ভাই হারানো বিরহ মর্ম
বেদনা ধূকে ধূকে চোখজল।
আজও কবিতা লিখছি কান্না কন্ঠে হ্নদ
ভাই হারানো হাহাকার হ্নদয়!
কেমন যে মনটি দু’চোখে পানি অজানা
ঐ’স্মৃতি শার্টটি যে কাঁদায়।
*************************
বাণী: ভাই রক্তের বাঁধন। বড়ই অমূল্যবান সুসম্পর্ক। যারন্যায় কখনও কোন অবস্থাতেই বিনষ্ট করা ঠিক নয়।