হঠাৎ এক দিন মামা বাড়ি গেলাম
পূর্বের মত কাউকে বলিনি।
না বলেই চমকে দেওয়ার ইচ্ছায়
দূর পথ শহর হতে উপশহর।


সকাল এগারোটায় রওয়ানা দিয়েছি
পৌঁচ্ছালাম দুপুর একটায়।
দুপুরের খাবার সময় প্রস্তুত মামারা
মধ‍্যাহ্ন ভোজন আয়োজন।


এর মধ‍্য দিয়ে উপস্থিত আমি একজন
নানা-নানী-খালা-মামা আরো!
সকল দেখেই হঠাৎ তুমি কোথা থেকে
এ'রকম আগমন বলে আসনি?


তেমন কি কোন সমস‍্যা হাজারো প্রশ্ন
বলি না কোন সমস‍্যা নাই।
ছাড়-প্রাইজের জন‍্যেই এ'রকম আসা
আসার কথা বললে ব‍্যস্ততা!


কত কিছু করতে তোমরা রান্না-বান্না
সে'কথা মাথায় রেখে না বলা।
কষ্ট আমি কাউকে দিতে চাই না ঐ'
কথাটি মনটিতে এসেছি দেখতে।


জিজ্ঞাসা করলেন মায়ের কথা আছে
কেমন? বেশ আছে সকলেই।
সালাম জানায়েছেন দোয়া করবেন
যেন ভাল থাকেন তিনারা।


সেই সাথে আপনারা ভাল থাকবেন
বেড়াতে যেতে বলেছেন।
সামনের বৈশাখ শেষান্ত আম পাক
ধরবে। গরুর দূধ আছে!


পাকা সুমিষ্ট আম-দূধ-ভাত-মজার
খাবার খাওয়াবে মেয়ে-জামাই!
তাই এলাম হঠাৎ নিমন্ত্রন নানা-নানী
সাথে পরিবার অন‍্যান‍্য সকলেই।


এরই মাঝে নানা বলেন ছাড় না সব
খাবার হল ঠান্ডা' ফ্রেশ হও!
নানা ভাই এসো খাবে; তারপর গল্প
নানীকে বলেন খেতে দিতে।


নানী তো নাতী পেয়ে মহাখুঁশি হ্নদয়
মুখ মধ‍্যে প্রশান্তি মুখমন্ডল।
দেখেই বোঝা যায় কোন বিরক্তি নয়
এমন আপন জানা বিরল হ্নদ।


মামা বাড়ি যেন এক অভিন্ন অসাধারণ
না চায় ধন-রত্ন-না দেখে বিলাস!
নানা বাড়ি যেমনই হোক নয় অভিযোগ
অনেক কথা খাওয়া-দাওয়া শেষ।


একদিন বিরতি আবকাশ পরদিন বিদায়
শুভকামনা সকল তরে স্নেহ পরশ।
আপনারা যাবেন ঐ'যে বৈশাখ শেষান্তে
আম-দূধ-ভাত অ‍্যাপ‍্যায়ন স্বাগত।
***********************
বাণী: হঠাৎ কোথাও যাওয়াই উত্তম। কারণ কাউকে কোন ব‍্যস্ততার তাগিদ থাকে না। আর হঠাৎ আগন্তককেও স্মরণ রাখতে হবে। আমি তো হঠাৎ এসেছি। উপস্থিত অ‍্যাপ‍্যায়ন পেলেও ভাল না পেলেও বেশ। কোন মন্তব‍্য না থাকাটাই স্বাভাবিক। সেই সকল আগন্তক ব‍্যক্তিদের হঠাৎ গমণ শ্রেয়। অন‍্যথায় অ‍্যাপ‍্যায়ন ত্রুটিতে বিঘ্ন ঘটলে তার জন‍্য ঐ'রকম মেহমানই দায়ী।