দ্বিতীয় পর্ব;
বেশ কয়েক মাস পর গেলাম পুনঃ ঝর্ণাদের
বাড়িতে। সেই কথাটি বলবো বলে। যখনই
যাই' কোন না কোন কথা এটা-সেটা গল্পে
সময় যে শেষ হয়ে যায়। সুযোগ হয়ে মোটেও


ওঠে না, মূল কথা বলার স্বপ্ন ছড়ার পত্র্যাত্তরের।
আসে ও'র ছোট বোন ভাইয়া কেমন আছেন? সবই'
তাই আর হয় না যে কথাটি বলতে যাওয়া ওদের
বাড়িতে, সাক্ষাতে ও'র প্রেরিত পত্রের উত্তর দিতে।


কথাটি বলারই সুযোগ আসে না ও'র সাথে।
কিছু সময় পরই ও'র মমতাময়ী মা এসেই
আমাদের গল্পে অংশ নিয়ে সহমতে শরীক
হলেন। জিজ্ঞাসা করলেন বাবা কেমন আছো?


তোমাদের বাড়ির সকলে কেমন আছে?
কি করছো এখন? পড়া-লেখা চলছে কেমন?
থাকো কোথায়? আরো কত জিজ্ঞাসা!
এরই মধ্যে খালা আম্মা বলেন ঝর্ণাকে'


যা ওকে নাস্তা দে! কত দুর হতে এসেছে!
তুমি যাও হাত-মুখ ধুঁয়ে সতেজ হয়ে নাও!
খালাজানের কথা বলা শেষে আমি বলি'
বিধাতার দয়াতে এক প্রকার ভালই আছি।


ছোট-খাট একটি কম মাইনেতে কাজ করছি।
আছি বেশ চলে যাচ্ছে এই তো আর কি!
থাকি কর্মস্থলেই যেখানে ঐ’যে ধানমন্ডি
৩২ নাম্বারের বঙ্গবন্ধুর সেই ঐ’তিহাসিক..


বাড়িটিতে। ঐ’যাদু ঘরটির নাম বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়াম।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর। ঝর্ণার মাতাজান বলেন'
শুনেছি যে বাড়িটিতে উনিশশত পঁচাত্তর সনে'

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে গুলি করে হত্যা করেছে
পশ্চিম পাকিস্তানীদের মদদ-দাতা-ঘাতক-
দালাল-মীরজাফরেরা। জ্বী খালাজান!
আপনি তো আমার থেকেও বেশ জানেন!


ভালই তো। খুব ভাল লাগা রইল। আমাদের
দেশের নারীরা তো বর্তমানে এই সবের খবরই
রাখেন না। সত্যই আপনি নারী কুলের গর্ব!
এরই মাঝে এলো ঝর্ণা নাস্তা হাতে। হল নাস্তা পর্ব।


তারপর গরম চা পান আর কথা মালা শোলক-ছড়া।
খালাজান বললেন তোমরা কথা বল আমি উঠছি!
তুমি যাবে না রান্না বসাচ্ছি! না খেয়ে যাবে না কিন্তু!
না খালাজান এখন সময় নাই। আরেক দিন খাবো!


আজ এ পর্যন্তই। কারণ যে কথাটি বলতে এসেছি!
সেই কথার ধারের কাছেও যেতে পারছি না। শুধুই
এলেই কুশলাদি'র বিনিময় পর্বেই যাচ্ছে যে সময়।
আমারও বসার সময় খুবই ক্ষীণ! পড়া-লেখা-চাকুরী।


কি যে করার আর কি বলবো? সময় বড়ই অসহায়!
ঝর্ণাকে একা পাওয়াও দ্বায়! ওর এমন শান্ত-সুলভ
আচরণে আমার কিছু বলতেও সংকোচে প্রাণে একটু
হলেও লাগে পরম পরশের’ ভাল বাসা মনের অনন্য'


সুধাতেরই হৃদয়ের টান। তাই তো সময় হল না
ঐ’দিন মনের মাঝে গেঁথে রাখা কথা ওকে বলা।
না বলেই বিদায় নিতে হল ঐ'দিন! আশি ঝর্ণা
ও খালাজান’ না! না! রান্না বসিয়েছি। আর ক’টি..


মিনিট খেয়ে যাও। বস কথা বল! আমি আসছি
কথা আছে! না খালাজান’ আরেক দিন এসে খাবো!
পাওনা রইল। আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন।
শুভকামনা রইল। ঐ’সেই দিন এলাম পত্রের উত্তর'

পর্ব ২য় চলমান রেখে এখানেই আজকের মত ইতি
টানতে হল সকল পাঠক ও শুভানুধায়ীগণকে শেষ
পর্যন্ত ভাল লাগা ও ভালবাসা কাকে বলে সেই
ভাবনাতে প্রকৃত ভালোবাসা অবলোকনে স্বাগত।।
===***===
===***===
বাণী: অনেক সময় মনে হয় কোন কাজে আমি হয় তো কোথাও কাউকে অমক কথাটি বলে কাজটি উদ্ধার/সমস্যা সমাধান করে সুন্দর ও স্বাভাবিক ভাবে ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে! কোন কোন ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই সময় নিয়েই সুযোগ বুঝে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ে সকল সঠিক কাজে সফলতা অর্জন করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও পরিচয়।।