আমি তো দেখাতেই অন্ধ; সেই অজানায়!
চোখ থাকতে তারপরও স্বীকার অজ্ঞানের'
চেতনায় থাকতে চাই নিজকে শিয়াল-পন্ডিতে;
রয়েই হতে চাই নিজকে না জানাতেই জ্ঞানী।


বুঝি আর না জানি, প্রচেষ্টাতে নাহি দেই মন'
কেহ যদি সঠিক পথের সন্ধ্যানে হয় পথিক!
কেন যেন উপহাসে তুঘলক করে থাকে তাকে?
অপর দিকে সকলেই হতে চাই বিজ্ঞ যে মনে।


ওর সাথে চলি; করি চলাফেরা;
ও যা বলে, ভাল-মন্দ! সবই শুনি কবুতর ন্যায় একনিষ্ঠ্যতায়'
একটু'তে হলে অনিয়ম রক্ষা করে না আপন পর বলে কথা।
ওরাই না কি ভাল মানুষ?


সমাজের হতে চায় গুণিজন!
সত্য-মিথ্যা দিয়ে জীবন চলে কোন মতে'
চটক-দারিতে হয়ে আট-খানা মনে হয় কত খুশি তারা!
লোক সমাজে দেখলে মনে হয় ওরাই সুখী মানুষ এই সমাজের।


সেই মানুষ গুলিই তো সঙ্গতা পায় অপরাধ জগতের;
ওদের কেহ বেয়াদব বলতে পারে? কেন পারে না?
কারণ ওরা অপরাধী! আছে ওদের সঙ্গ দল যে ভারী'
অমন কথা বললেই খেতে হবে ঘাড়টা মটকানী।


সেই জন্যেই বেয়াদপকে কেহই বলে বেয়াদপ!
আদবকেই বলে থাকে ঐ নষ্ট মনে; না বুঝেই বেয়াদপ।
এই হল বুঝি আমরা প্রকৃত মানুষ?
পেটে যা দুমড়ে মুছড়ে বলে তাই যেন মুখে বলা।


আসলে কোনটা সঠিক না ভেবেই পন্ডিত সাঁজলাম!
কি যে মহা-জ্ঞানী' বাদ-বিচার নাহি জানি রই ঐ মনে'
আমরা হয়েছি বুঝি বড়ই বুঝদার। অপূর্ব! মন্দ কথা নয়!
দেখাও না সেই বুঝে ভাল ও সঠিক কর্মের দীক্ষাতে।


আমাকে নাও না তোমার বা তোমাদের সাথে;
বলে ছিলে কি? বেয়াদপ সেই ভাষা মনে রাখিনি!
এসো না ভাই-বোন আমরা অনেক ভাল মানুষ'
করলে কাজ এক সাথে যদি থাকে বিবেক সত্য,


সেই বিবেকে রয় যদি মন্যুষ্যত্বের সিসিটিভি!
নিজ হতেই রক্ষা করো যদি রেকর্ড ঐ মননে'
তোমাতেই বুঝতে পারবে আসলে কে বেয়াদব?
যাকে সহজেই বলেছিলে; সেই! না নিজেই ঐ টাইপের।


আসুন না আমরা সারাটি দিনের হিসেব কষি কি করি?
খাতার পাতা ভরে। পারবেন কি আপনি ঐ মনে?
তবে কেন বললেন না জেনে' নিজ দুষ্ট মনে ভাল লোকটিকে!
হ্যায় নেশাতে লোকটি বেয়াদপ কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছে।
===×××===
===×××===
বাণী : কাউকে না জেনে' আর নিজে বিবেকবান মানুষ তৈরি না হয়ে' কোন শব্দার্থের অর্থ না জেনে ও বুঝে হেয়ালিতে ভরে অভিযোগ দাখিল  করার পূর্বে হাজার বার ভাবাটা খুবই জরুরী। কারণ মুখে যা আসে তাই প্রকাশ করলে চলবে না। যেহেতু আমরা মানবিকতার মানুষ' সেহেতু কেহ যেন বিনা ও সামান্য ভুলের কারণে আঘাত না পান; সেই দিকে লক্ষ রাখা। তা না হলে আমার সামান্য আঘাতে লোকটি স্ট্রোক করতে পারে, কষ্ট পেয়ে কাউকে না বলতে পেরে, নিজ হতেই ক্ষত-বিক্ষত হয়ে নিজের অপরাধ বা ঐ লোকটি কেন আঘাত করলো সেই ক্রোধে শেষ করতে চাবে নিজকেই। অনেক প্রতিভা থাকার পরও সমাজ কিছুই নিতে পারবে না সেই ব্যক্তি হতে। তাই সকল ক্ষেত্রেই শালীনতা অবলম্বন করে চলাই শ্রেয় ও উত্তম।।