কি যে পরিবার! জন্ম নিয়ে অনেক কথা'
বাবার কর্মের ফলকে ধীক্কার মনের অবমাননায়;
ঐ পিতারই বীজ বোপনে ফসল ফলে বিধাতা'তে
সেই তো হয় দায়িত্বের ঐ ফসল রক্ষায় প্রকৃত জন।


তারই সন্তানের সাথে দ্বি-মাতা সন্তান করে অনাচার'
পিতা হয়েই খেলা-দেখে নিজ সন্তানের অত্যাচারের'
হায়রে পিতা কেন করলে শয়তানের প্ররোচারণায়
দুষ্ট মনে কেন দিলে দ্বিতীয় রমনিতে প্রেম নিবেদন?


সেই নিবেদনে তুষের আগুনে জ্বলে-পুড়ে খারখার'
হয় প্রথম জীবন সাথী বলে ভালবেসে ঘরে এনেছিলে
যার। যৌবনের ফুসরতে বিবেক হারায়ে অধম হয়ে,
আজ নিজে কি পেলে আর দু'টি পরিবারকে কি দিলে?


নিলে কি? ভেবে কি দেখেছো কখনও ঐ মনে?
তোমার অপরাধের বিচার করতে না পেরে প্রথম
স্ত্রী-সন্তানেরা' নেয় দ্বিতীয় স্ত্রী'র ও সন্তানদের।
তুমি প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের কিছু বলতে ভয় করো!


তাদের ভয়ে এক পোষণে এক সাথে করো আঘাত!
দেখাও অনেক পালোয়ান তুমি' মনে হয় জোর করে
বিবাহ বসেছে; হয়েছে সন্তান বুঝি ঐ মহিলার'ই
তোমার দায় নাহি কোনই কি যে এলোমেলো পরিবেশ।


সব দায় ঐ হতভাগা মহিলার ও তার পেটের! অপূর্ব'
এখন ভোরণ-পোষণ করাতে অপারগতা, দোষ নাই
সেই পিতার। যত দোষ করেছেন অসহায় মহিলাটি
দায়
পরপর জন্ম নেওয়া দু'তিনটি সন্তানেরও কি যে!


দ্বি-মাতা ভ্রাতারা করে অত্যাচার অসহায় সন্তানদের
সাথে। প্রাণে মারতেও দ্বিধাদ্বন্দ করে না সেই বিমাতা
ভ্রাতাদের হতে। কি করবে ঐ সন্তানেরা কোন মতে
প্রাণ রক্ষায় বেড় হতে হয় কলংঙ্কের ঘর-বাড়ী ছেড়ে।


আশ্রয় হীন প্রত্যাবর্তনে কি যে করে ঐ মনে ভাবনাতেই
দিন-রাত কাটে কোন মতে' বিধাতার নিকটে ফরিয়াদ
হে আল্লাহ্ রক্ষা করো আমাকে; করো রক্ষা আমার
মাতা ও ছোট ভাইদেরকে! কত শত কাঠের পুড়া কয়লায়!


পুড়ায়ে কাষ্টের অনন্যতায় ভরে মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে
ঐ সেই পুড়া মন জোড়া লাগানোতে শক্ত হাতে হাল ধরে'
আট-এগারো-বার বৎসরের সেই ছেলেটি একা একাই
নিজেরই জীবনের ঝুকি নিয়ে বজ্জাত পরিবার ত্যাগ করে।


সংগ্রামী জীবনে পা রেখে হতে থাকে কায়িক শ্রম বিনিময়ে'
জীবন গড়ার সেই স্বপ্ন স্বাদের বিভোরতাতে মন! কেন যেন
তারপরও কি ছেড়ে দিতে চায় সেই বজ্জাত দ্বি মাতার সন্তানেরা
কিভাবে ক্ষতি করবে! করে থাকে সব সময়ই সেই পাঁয়তারা।


মানে দুনিয়াতে রাখতেই চায় না বাঁচায়ে যে তারা; কতটাই
হিংস্র যে তারা! অনেক প্রতিবেশী মুরব্বি চলে গেছেন ছেড়ে
দুনিয়া। বলতে পারবেন কি অত্যাচারী দ্বি-মাতা ভ্রাতা ও বাবা
চাচা তাদের পরিবার। তারাই নাকি ভাল মানুষ? সমাজ সেরা।


ওহে পিতা কেন করো অমন মনে কাজ! তৈরি কর অপরাধ;
একবার ভাব না তোমার আয় রোজগারের কথা! ভাবনা ভবিষ্যৎ
জীবনের কথা! আজ কি করবে? কাল কি হবে? তোমারই পাপে
পাপী করবে তোমারই প্রজন্মের এক সন্তান হতে অপর সন্তানকে।


আসলে বুঝতে পারো কি না জানি না; ভেবে দেখ অন্ত:দৃষ্টি দিয়ে!
তোমার পাপের ফসলকে মারছে, করছে অপমান, তোমাকে না
মারতে পেরে' মারছে প্রকৃত পক্ষে তোমাকেই! ভেবে দেখ সত্য কি?
তাই তো বলি অমন কাজ করো না পিতা তুমি সে যেই হওনা কেন?


অপর দিকে বলি ওহে দ্বি-মাতা ভ্রাতা কেন করেছিলে অমন অনাচার?
ভাই হয়ে একই ভাইয়ের সাথে; তোমারই মায়ের মত মায়ের সাথে?
দেখ চেয়ে আজ অর্জন হয়েছে যাকে নিপীড়ন করেছিলে তারই। হয়েছে
কল্যাণ তার মায়েরও! তবে কেন করে এসেছো ঐরুপের
কাল নাগিনী হিংস্র অপরাধ জগতের।


আল্লাহ রিজিকের মালিক!!!
সেই কথাটিই অবধারিত সত্য!
তাতে নেই কোনই সন্দেহ!
খাওন পড়ন নিয়েই তো অমন আচরণ'


লোভ-লালসা সেই মনের অহংকারের ক্রোধের রোষানলের বসবতি।
দেখতে এখন পাচ্ছ না কি লাভ করেছো অত্যাচার করে?
বিধাতা যাকে যা দেওয়ার সাধনা গুণে দিবেন অপূর্ব সন্মান।
পড়া-লেখায় বাঁধা, পথে চলতে সুনামে আঘাত, বদনাম ছড়ানো,


কোন কিছু করতে পারবে না, সংসার নষ্টের পাঁয়তারা,
কর্মস্থলে অপবাদ দিয়ে কর্মচ্যুতি করে অভাবে ফেলানো।
কি না করেছো জীবনে তোমরা! আজ তোমরা সমাজে বড় কথা
বল! বল অনেক টাকার মালিক নাই তোমাদের মত ভাল লোক,


মসজিদে অর্থ ছদকা করো! সুনাম ছড়ায়ে বেশ চলার চেষ্টা করছো।
অবৈধ অর্থ কামায়ে কত রঙ্গ-মঞ্চ, গাড়ি-বাড়ি, জমিজমাতে ভরপুর।
আসলে কয় টাকা বেতন পাও? কিভাবে এতো টাকার মালিক হলে?
সময়ই কথা বলবে একদিন! সুখে আছ কি? না কোন অবস্থাতেই না।


এসো না যার সাথে অপরাধ করেছিলে তার কাছে! দেখি কেমন
মানুষ তুমি' কত টাকা আয়কর দেখাও বল অকুপটে। ঐ দিকে ফুটানী
এই দিকে নিজ পিতারই জন্মের ভাইয়ের সাথেই করে এসেছো অপরাধ।
ওরা না কি মুসলিম! ধর্মপ্রাণ মুসলমান? তাই বলি কোন হিংসা নয়।


কেহ কারোটা খায় না! ভালবাস সকলকে! কল্যাণের জায়গায় অপরাধ
জগৎ করো না তৈরি! বিপদ এনো না ডেকে নিজ পরিবারেরই। কেহই
ঠেঁকে থাকে না কারো কাছে! অর্জনই বলে দিবে কার স্থান কোথায় হবে।
এমন অর্জন হবে সেই অত্যাচারির যা দেখে তুমিই লজ্জিত হবে।
এরই নাম "কেন লুকানো অর্জন"।
===×××===
===×××===
বাণী : এমন জীবন করিও না গঠন যে জীবনে নিজ পরিবারের মানুষ হয়েই মানুষের কষ্ট দেওয়া, মানুষ দ্বারাই জীবন বিপন্নতার স্বীকারে পড়া। পিতা হয়েই ছোট্ট সোনা বাবুকে আঘাত করা। নিজ অপরাধের
সামাল দিতে না পেরে নিজ সন্তানকেই অস্বীকার করা। তাই সংযত হও! যে কোন কাজ করার পূর্ব ভাব কোনটি ভাল জান তারপর করো, তবেই বিরাজ করবে সুখ ও শান্তি নিজ ও নিজ পরিবারে।।