এ কেমন বুঝ মানব হয়েই রয় যে মানবের?
যে যেমন পারে সে তেমনেই বলে অন্যকে'
যাদের জন্যে যে জন করে থাকে মঙ্গল কামনা!
তারাই উপকার শেষে বলে থাকে কিছুই বুঝি না।
কিছুই বুঝি না বটে বলেছো বেশি বোঝ বলে!
সময়ই বলবে একদিন প্রকৃত পক্ষে তুমি কি বুঝেছিলে।
কর্মজ্ঞান স্বল্পতায় তার ভাবনায় রয়ে বসে জ্ঞান গম্ভীর!
নিজেকে না জানাতেই অনার্থক অকর্মের জ্ঞান তাই অলক্ষে।
ঐ রুপেই অনেক লোক আমরা রয় এ সমাজে!
ছাত্র করে না সঠিক ভাবে পড়া-লেখা'
কৃষক করে না সঠিক ভাবে তার কৃষি কাজ'
শিক্ষক করেন না সঠিক পাঠে শিক্ষা দান'
প্রকৃত পক্ষেই যে যেখানে যার দায়িত্ব করে না ন্যায় পালন।
মুখে বলে থাকে ঠিকই ন্যায়ের অভিলাষী চমক বাক্য চরণ!
তারাতো সকলেই সাময়িক হলেও রয়ে থাকে মুখরোচখে।
ওরা অনেক বুদ্ধিমান-বুদ্ধিমতি!
রক্তটলমল শরীর গঠন দীপ্তমান ভাবনা থাকে মনে দ্বিগবিজয়!
তাই তো রঙ্গিন জীবন স্বপ্ন বিভরে বর্তমান-ভবিষ্যৎ রয় অন্ধে।
শুধুই গতিতে চলতে চায় অপ্রতিরোধ্য প্রতিযোগিতাতে।
ওরাই অগভীর অজ্ঞতায় শুধুই বেসিক জ্ঞানে কত যে বিজ্ঞ!
স্বচেতন দীপ্তমান প্রকৃত বাস্তব জীবনের অর্জনকে অন্ধজানে।
সেই জ্ঞান হতে বললে ওরে কাঁচাদের করো না ঐ কাজটি'
জীবন তোমায় রবে লোকসানেতে! কে শোনে সেই উপদেশ?
ঐ আদেশ দিলে অপর পিঠে বলে থাকে কিছুই বুঝি না যে।
ভুল পথে চলে সব হারায়ে ঠিকই একদিন হয় দ্বারস্থ!
ক্ষমা কর আমায়! হয়েছিল ভুল' আর হবে না কখনও যে'
বিজ্ঞ মনে মনে ভাবে আরে বোকা এমনটিই হওয়ার ছিল'
ভাল কথায় অপমানের ফল এমনই হয় বলে বিজ্ঞ মনে।
ঐ সময় বলে ছিলে বুঝি না! এই দেখ বুঝি কেমনে?
===×××===
===×××===
বাণী : আপন ও প্রকৃত মানবিক গুণাবলী সম্পূর্ণ মানুষ নিজেকে ক্ষতি করে হলেও মানব কল্যাণে উপকারে নিজেকে সকল শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে থাকে। যাতে কোনই কার্পণ্যতা করে না। সেই ত্যাগী মানুষকে সকলেই বুঝতে পারে না। তাই মানুষ কৃতজ্ঞ হতে পারে না। সেই অকৃতজ্ঞ মানুষ গুলিই জ্ঞানী মানুষের উপদেশ গ্রহণ না করে অবজ্ঞায় বলে থাকে উনি বেহুদা বগবগ করে বোঝে না কিছুই। প্রকৃত পক্ষে যারা অবজ্ঞা করে থাকে তারাই এক সময় দেখতে পারা যায় অধম হয়েছে।