‍''কৈশোরে’র বাহাত্তর টাকা"
এখন ভাবতেই অবাক লাগে,
বাহাত্তর টাকা যে সেই উদ্দীপনা
সেই বাহাত্তর টাকাই সম্বল যে;
ভরসায় পারি জমাই এক অজানায়
গ্রামের বাড়ি, ফরিদপুরের সদর হতে
ঢাকার অভিমূখে;
সেই সময়ে ফরদিপুর-গাবতলী’র
পরিহণের ভাড়া ছিল পঁয়ত্রিশ টাকা।
অবশেষে সব পথ খরচ চুকায়ে!
সতেরটি টাকা সম্বল থাকে,
সেই সতের টাকাই যে ছিল;
জীবনের উৎসাহ-উদ্দীপণা!
অনেক পরিশ্রম, ঘাত—প্রতিঘাত ও কঠোর অধ্যাবসায়ে
আজ হতে পেরেছি উচ্চ শিক্ষিত ও সন্মান জনক
পদ-মর্যাদায় প্রাইভেট সেক্টরের চাকুরীজীবি।
বাংলাদেশের নামকরা শিল্প—কলকারখানায়;
শিক্ষা—নবীশ কর্মকর্তা পদে যোগদান করত:
পদোন্নতি পেয়ে ধীরে ধীরে পদ—মর্যাদায়
পদান্বিত হয়ে আজ আমি শিল্প প্রতিষ্ঠানের
গুরুত্ব পূর্ণ পদবীর মহা—ব্যবস্থাপক—
(মানব সম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স)।
সেই বাহাত্তর বিয়োগের অবশিষ্ট্য..
সতের টাকাকে সদ্ ব্যবহার করে..
আজকে আমি অর্থনৈতিক ভাবে পেয়েছি স্বচ্ছলতা।
যাহা সম্ভব হয়েছে একমাত্র
কঠোর পরিশ্রম, আত্ন:বিশ্বাস,
সময়কে সদ্ ব্যবহারে,
সততা ও ন্যায়ের সংগ্রামের এবং পর-শ্রী-কাতরতায় মূখাপেক্ষী না হয়ে,
পরিশেষে, সৃষ্র্টি কর্তা আল্লাহর একান্ততায়।।
পরিবার—পরিজনসহ আল্লাহর রহমতে যাচ্ছে যে সময়;
বিধাতার দানে প্রাপ্তিতে যোগ্যানুসারীতায়
সংসার ধর্ম ও যৌবন বলে কথা!!
বিধাতার অশেষ কৃপায় প্রাপ্তিতে
দাম্পত্ত জীবনে আবদ্ধতা লাভে..
বিধাতা মিলায়ে দিয়েছেন যে..
একজন সুযোগ্য ও সুপ্রিয় সহধর্মীনি;
সেও তো যে একজন সুকর্মজীবি,
মহিলা ডিগ্রী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের
(সহকারী অধ্যাপিকা)।
টাকা—পঁয়সা ছিল কি, ছিল না সেটা নহে বড় কথা;
শত পরিশ্রমের বিনিময়ে স্বার্থক জীবন আজ।
পরিশ্রম, সততা ও কর্তব্য নিষ্ঠাই
মানব জীবনের উন্নতির একমাত্র চাঁবী—কাঁঠী,
যা হউক না কেন!
যৎ সামান্য সেই কৈশোরে’র বাহাত্তর টাকা।


বাণী: পরিশ্রম ও সততা বিনা উন্নতি লাভ করতে চাওয়াটা বোকামী।।


তারিখ: ২৮/০৬/২০৯১ইং, সময়: দুপুর: ৩:৩০মিনিটে।