হে আল্লাহ্ রক্ষা কর আমায়!
এনেছো সুন্দর এই দুনিয়াতে'
মায়েরই গর্ভে পিতারই সানিধ্যে!
তুমিই একমাত্র নিরাপত্তার বেড়া জাল।


পিতা-মাতা রয় তোমারই ভরসাতেই'
আমাকে ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড়তে
রুপান্তর করতে কতশত কাঠ-খড়ি পুড়ায়ে;
নিজেদের জীবনের সুখের কথা'টি না ভেবেই;


আমারই জীবনকে সুখী ভাবনায় রয়ে ছিল মেতে'
সকল সময়ই মনে করেছেন আমারই কথা!
হে বিধাতা রেখ ভাল আমার সন্তানকে তুমি।
দিওনা যেন কখনও অলক্ষ্যের দেখা মনিকে!


সকল সময়ই করে এসেছেন মঙ্গল কামনা।
সন্তান বলে কথা শুধুই চেতনায় রয়েছিল'
আমার সন্তান ভবিষ্যতে রয় যেন দুধে-ভাতে।
হয় না যেন অর্থ-কষ্টের অভাব!
হে আল্লাহ্ রক্ষা করিও সন্তানকে ।


তাই তো রহে আমার মন ও প্রাণ 'হে আল্লাহ্ '
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে রই তোমারই প্রতি একাগ্রতায়,
এতে নাই কোনই কমতি ও নহে সন্দেহ এই মনে!
তোমারই প্রতি শুকুরিয়া আদায়ে।


সেই পিতা-মাতা যাদের মাধ্যমে এনেছো
এতো সুন্দর দুনিয়াতে' স্বার্থক জনম অনুভবে'
নত তোমারই সকল নিয়ম-কানুন, আদেশ,
হুকুম পালনের শিরধার্যে। রইল কৃতজ্ঞতায়।
===×××===
===×××===
বাণী : একজন মানুষ হিসেবে সব সময় মনে ও প্রাণে জেনে বুঝে এবং অন্তরে গেঁথে নিতে হবে, যে কে আমার জন্ম দাতা-দাত্রী? কি ভাবে এলাম দুনিয়াতে? কারা কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছেন? আল্লাহর হুকুম আহকাম কি? কল্যাণ কর কাজ কি? কৃতজ্ঞতা বোধ কি? পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা কি? বিধাতা এই দুনিয়াতে পিতা-মাতার মাধ্যমে আনলেন এবং কষ্ট করে তারা মানুষের মতন মানুষ হওয়ার জন্যে শত কষ্ট-দু:খ সহ‍্য করে বড় করে তুলেন। তাদের কথা মনে না করেই সেই সকল সন্তানরা নিজ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাল খান-পড়েন। আর সেই জায়গায় পিতা-মাতাকে কোন মতে দেখভাল করেন! অনেক সময় কে দিবে বলে কালক্ষেপন করে থাকেন। সেই সমস্ত সন্তানেরা না হলে সাবধান! অপেক্ষার পহর গুণতে থাকো সময় আসবে অনুরুপ তোমাদের জন্যেও। আরো অনেক অর্থ-কষ্টের! বয়সের টানের যৌবনের যৌলুসে হয় তো শয়তান অন্ধ করে রেখেছে। সময়ই কথা বলবে। তাই একনিষ্ঠ হও পিতা-মাতার দেখভালে। তবেই তো প্রকৃত কৃতজ্ঞতা স্বীকারে থাকবে জন্ম স্বার্থক বলে।।