যে কাজে রবে মন ঐ তরে
সেই কাজে না দিলে মন!
এক সময়ে দেখা দেয় ঐ
সেই কাজটি না পারাতে হয়
অরোণ‍্যের রদনের  একজন।


এক যে ছিল একটি পরিবারে
বিবাহ উপযুক্ত একটি মেয়ে,
সেই মেয়েটির ইতি পূর্বেও না কি
হয়েছিল একটি বিবাহ! সেই সুয়ামিরও
করতে পারেনি না কি ঐ ঘর-সংসার।।


ঐ'মেয়ের গার্ডিয়ান বলে থাকে
হয় না কোনই তুলনা তাদের এই মেয়ে হতে!
বাবা-মায়ের ঐ মেয়ে না কি খুবই স্নেহের
আসলে প্রকৃত পক্ষে ঐ মেয়ে হয় অপায়া।


জানে না তেমন কাজ-কর্ম, শেখায় নাই
বাবা-মা তেমন লেখা-পড়া ও সংসার ধর্ম
নামক রান্না-বান্না; তেমন গোছানো পরিবেশ;
শুধুই শিখেছে টানটান কথা-বার্তা ও অসভ‍্যতা।


মুখে বেজায় ছলচাতুরীতে ভরে দিব্বি চলতে চায়
পোষাক-আষাকের চাকচিক্কের মনোরঞ্জনে......
স্বামী কোনটা পছন্দ করে?
কোন মাছে কোন তরকারী মেশাতে হয়?
কেমন করে তৈরী করতে হয় নাস্তা
নিজ সংসার বলে কথা ও অন‍্যান‍্য কাজ-কর্ম!


বাঙ্গালীরা যত্রতত্র প্রচলিত খাবার খায় তা কি?
জানা রয় যে সকলেরই।
তরুতাজা লাউ তার সাথে ষৌল মাছ গরম
তেলেতে বাঘার দিয়ে করলে রান্না খেঁতে
কতই না মুখরোচক স্বাদের তৃপ্তিতে ভরপুর।


বাজার থেকে আনা হয় তরুতাজা একটি লাউ
সাথে তাজা ষোল মাছ শুনাতেই স্বাদে জাগে!
সেই লাউ দিয়ে ষোল মাছ কিভাবে রান্না হয়?
জানে কি ক'জনা মেয়ে ঐ মনে?


শুধুই কোন কিছু করার জন‍্যে গেলেই!
মোবাইলে কল করে তার মাকে!
মা মোবাইলে যা পরামর্শ দেয় সেই কর এই ভাবে!
ভুল হোক আর সঠিক হোক ঐ তরে করে থাকে
রান্নার কাজ।


সেই রান্না করা খাবার অপছন্দে না খেতে
চাইলে ঐ স্ত্রী'লোকটি তার বাবা"মাকে
আবল-তাবল মিথ‍্যা অভিযোগ করায়ে স্বামীর
স্বাদের ষোল দিয়ে বাগারে লাউ খাওয়ার
ইচ্ছার স্বাদের বার'টা বাঁজায়ে যে ছাড়ে।


শেষে পরিনতি দাঁড়ায় ঐ সংসার টেকে না
আর যে দশটা দিনও। সেই তরে প্রশ্ন আমায়
ওহে মেয়ের মা ও বাবা কেন শেখাও নাই
মেয়েকে সংসার নামক সকল কাজ-কমা?


না শেখায়েছো লেখা পড়া তেমন,
না শেখায়েছো শিষ্ঠাচার?
শুধুই শেখায়েছো মিথ‍্যাচার ও ভন্ডামী।
সেই তরে এক বাচ্চার জননী হয়েও


ভাল সংসার-স্বামীর নামে মিথ‍্যাচারের
জাহান্নামী নারী নির্যাতন কেইস দিয়ে
সংসার না করার নামে নেয় যে হাতিয়ে পঁয়সা-কঁড়ি।
আমাদের সমাজের ওহে সকল (নারী-পুরুষ) শোন!

প্রকৃত কাজের জ্ঞান অর্জনে হও সহমত সকলে!
সন্তানকে শেখাও সংসার নামক খুঁটি-নাটি সকল কাজ-কর্ম
একসাথে একে অপরের' সেই তরে প্রতিটি সন্তানকে।
ছোট বেলা হতেই শেখাতে হবে সঠিক কর্ম,


সংসার নামক ভবিষ্যৎ জীবন চলার ব্যাসবাক্য।
এর ব্যতিক্রম ঘটালে পারিবারিক জীবন এক সময়ে
নেমে আসতে পারে ধ্বংসের স্তূপের দূ'গন্ধের অস্বাধ
যা আর শুধরানো বড়ই দ্বায়।


সেই জন্যেই বলি ওহে মানুষ আমরা!
ওতোটা আবেক আপ্লুত না হয়ে সন্তানদের
ছোট বেলা হতেই কাজে পারোদর্শিতা অর্জনে
হয়ে সহায়ক হও গর্বিত পিতা-মাতা।


সন্তানদেরকে বানাতে হবে ঐ গর্বিত
পিতা-মাতার ন্যায় উপযুক্ত সন্তান।
তবেই তো ভবিষ্যৎ জীবন উক্ত সন্তানদের
হবে স্বার্থকতা লাভে ধন্য যা জগৎ সংসার


নামক অপূর্ব সৌন্দার্যে মনোরম পরিবেশ।
মায়ের বয়সের মাঝা-মাঝি সময়ে নিজ
সন্তানের সামনে জিজ্ঞাসা করতে হবে না
মা লাউ কিভাবে ষোল মাছ দ্বারা রান্না করতে


হবে? বলে দাও না মা আমাকে! মা বলেছেন
ঠিকই করো রান্না ঐ ভাবে' মেয়ে করেছে হিতে
বিপরীত সেই তরে স্বামী স্বাদ না পেয়ে খায়নি
ঐ লাউ-ষৌল মাছের তরকারী তাতে কি হয়েছে?


কেন খেল না হয়ে গেল স্বামী ছোট লোক! আ-হা
কি-যে-ম-জা! স্বামী বললেন না কিছুই। আর যে
করতে পারে না রান্না তারই দাম্ভিকতা ও অপ্রিয়
আবদারে ভারী।


এই হল আমাদের সমাজ ব্যবস্থা,
আমরা সমাজের কত সুন্দর সত্যবাদী মানুষ?
মেয়ে আমার কাজ করালে গাঁয়ের রং নষ্ট হয়ে যাবে
আগুনের কাজ দিতে চাও না ওহে মা!


শোন! শোন! মেয়েও যেতে চায় না ঐ কাজে!
এক সময়ে দেখতে পাবে ঐ কাজ না করার ই্চ্ছা'
কাজ করাতে না চাওয়াতে কলংঙ্কের বোঝা বইতে
হয় ঐ শ্রেণীর পিতা-মাতাকেই।


বদনাম হয় সেই সকল গার্ডিয়াদেরকেই কি হয় না?
সেই জন্যেই বলি শোন! শোন! ভাই-বোন সকলেই
শুধুই লাউয়ে ষৌল মাছ নয়!
কোন মাছে কি দিয়ে রান্না করতে হবে জানতে হবে


সকলকেই। তবেই তো ধন্য হওয়া যাবে এই জগৎ
নামক সংসারটাতে। ধন্য করতে পারবে নিজকে ও
আপন নামক সংসারটাকে নিজ হতে সাঁজায়ে।
কখনও কলংঙ্ক আসবে না জীবনে লাউয়ে-ষৌল
মাছ রান্নার চেতনায় সংসার নষ্টের ভ্রান্তের তরে।
===×××===
===×××===
বাণী : কর্মই বড় ধর্ম! কাজ জানলে কখনও লোকসান হয় না। বরং কর্মই এক সময়ে সফলতা বয়ে এনে মানব জীবনকে সুখী করে তোলে। সেই তরে প্রকৃত রাঁধুনীর রান্নাতে লাউয়ে-ষৌল কি যে চমৎকার স্বাদে ভরপুর করে জাগ্রত মনের তৃপ্তিতে ভরে দেয় রসনা ভোজী প্রেয়সীর হৃদয় ও মনখানাকে।।