আমি থাকি ঢাকার শহর মিরপুর এক এ
কর্মস্থল সিনাবহ কালিয়াকৈর থানাধীন
গাজীপুর জেলা ‘যমুনা ইলেকট্রনিক্স এন্ড
অটোমোবাইলস লিমিটেড কারখানাটি।


পদপদবী: মহা-ব‍্যবস্থাপক-(মানব সম্পদ,
প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স) বিভাগীয় প্রধান
তথা প্রজেক্ট হেডও বটে, রয় দায়-দায়িত্ব
দূর কোথাও যাওয়া সম্ভব হয় না কর্মস্থল।


বিবাহিত জীবন স্ত্রী সেও সুকর্মজীবী জন
কলেজ প্রফেসর সেই বেশির ভাগ সময়
আসে ঢাকার বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার
আমিও একত্রিত হই কর্মস্থল হতে ঢাকা।


দু’জনা মিলে গাবতলী বন্ধন দেখা যাই
বাসায় এমন করেই চলে পরিবার কর্ম।
আমি কবিমন লেখি কবিতা সময় যেন
মোটেও সাঁই দিতে চায় না কোথা যেতে!


মায়ের সাথেও হয় না দেখা কয়েক মাস
ফোনে কথা হয় বটে তবুও মায়ের মন!
সন্তান বলে কথা বলেবাবা আয়না দেখি…
কত দিন দেখা না তোমায় পিঠা বানাবো!


মায়ের ডাক কানে শোনা মাত্রই ধ্বনিত
সুঘ্রাণ মধুমাখা মায়াবী মমতা ভরা মর্ম!
এমন শোভা ছড়ানো আদর আদব সেরা
এ’জগৎখানায় মিলানো বড়ই দ্বায়-ভার।


তাই তো আজ আর অফিস হতে বেরিয়ে
কোন ডানে বায়ে নয়! ঢাকার শহরেও নয়।
একে বারে ফরিদপুর অভিমূখে রওনা মাকে
দেখবো সেই মন প্রাণের টান বিকাল বেলা।


সময় তখন পাঁচটা বাজে পেয়ে পেলাম গাড়ী
গোল্ডেন পরিবহণ ঢাকা-পাটুরিয়া রোডগামী।
উঠে বসলাম আসবো ফরিদপুর মাকে দেখা
সেই সাধ সাধনা মর্ম এক আস্তাচল শুভসূচনা।


এমন করেই মায়ের আঁচল স্কুল হতে আগমন
টকবগে লালটে মুখখানী ধৌঁত করেই মুছেছি
ঐ’শাড়ির এক চিলতি আঁচল কতটা সুখমন
সেই মনের মাধূর্য উর্বর সন্তান চল শক্তি পায়।


সেই মাতা দিলে ডাক মনি অনেক দিন হয়নি
দেখা তোমার; এসো তুমি পিঠা বানাবো খাবে।
মায়ের কথা কানে শুনেই উতলা প্রাণ মন ব‍্যস্ত
সেই মনটি এলাম ফরিদপুর শহরতলী বাসায়।


মা থাকেন গ্রামের বাড়ি সেখান যাবো শুক্রবার
দেখা করবো মাকে পাবো নয়ন দু'টি মেলিয়ে!
কথা হবে স্নেহ প্রবণ মমতা এক অনন‍্য তৃপ্তির
শোভা যেন সত‍্যই ছড়ালো মা-সন্তান সম্পর্ক।
**************************
বাণী: মা হল একটি সন্তানের অমূল‍্য অলিক সম্পদ। আজ যারাই আমরা জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখি। সুন্দর পৃথিবী দেখছি। তার মূল অবদান জন্মদাত্রী মায়ের। অন‍্য কারো নয়। সন্তান হিসাবে তারও নয়। মায়ের গর্ভে যদি সন্তান ধারণ হতো। তাহলে আমার এই পৃথিবী দেখা হতো না। সেই জন্ম আমার জন্ম ও জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সকল সফলতার সুঘ্রাণ আমার জন্মদাত্রী মা জননীকেই অর্পন করলাম।