এমন একটি কবিতা লিখছি
মানুষ ও শয়তান কাকে বলে?
সেই কথাটিই জ্ঞানালোয় বলি
মানুষই ভুল কাজ শয়তান হয়।


বিবেচনা বিবেচক লোক মানুষ!
একটি দিনের ক'য়টি অংশ রয়?
সেই সময় গুলি রুটিন করে চলি
দেখি মানুষ সারাদিন কি করবে?


সকাল প্রসঙ্গ;
ভোরবেলা সুপ্রভাত আযান হলেই
জাগ্রত হই বিছানা হতে শরীর সুস্থে।
নামাজ কায়েম পর শরীর চর্চা করি
চল্লিশ মিনিট শরীর অঙ্গ-প্রতঙ্গ চর্চা।


শরীর চর্চা শেষ গোসল সেরে হালকা
নাস্তা পর্ব যারন‍্যায় যে যেমন কর্মেরত!
সকাল আটটার মধ‍্যেই বাসা-বাড়ি হতে
বেরিয়ে পড়বে কর্মস্থল কথাটি ঠিকানা।


শুরু হয় দাপ্তরিক যার যেমন কর্ম-টর্ম
চলে কর্ম এক নাগারে বেলা এগারোটা'
সময় একটু চা-চক্রের বিরতি বিনোদন
দশ মিনিট সময় শেষ যেন রিফ্রেশ মন।


দুপুর প্রসঙ্গ;
বেলা একটা ঘড়ির কাটায় যেন মধ‍্যাহ্ন
কর্ম বিরতি নামাজ আদায় ধর্ম পালন।
দুপুরের ভোজ ভক্ষণ পরিশুদ্ধ খাদ‍্যতে
সময় যে কথা বলে দু'টা বাঁজতেই শেষ।


যথারীতি কর্মে মনোনিবেশ সময় মানুষ
মানুষের জন‍্যে সময় সময়ের জন‍্য নয়!
এমনটি করেই সময়কে লাগায়ে কাজে
গঠন মূলক ভাল কাজ ন‍্যায় সর্বোক্ষণ।


থাকবে নাকর্মের মাঝে অন‍্য কোন মন
চলবে কর্ম স্বচ্ছতার সহিত মন ও প্রাণ।
সেই মনটিতেই সময় ঘনিয়ে আসর হয়
পশ্চিম গগণ মসজিদগুলি আযান ধ্বনি।


বিকাল প্রসঙ্গ;
আসরেরই আযান শেষ হতে না হতেই
অফিসের কাজের সময়ও শেষান্তদার।
কেহ নামাজ আদায় করে দপ্তরে আবার
কেউ বিকাল পাঁচটার পর বাসায় এসে।


অনেকেই আদায় করে পছন্দ মসজিদে
এমন করেই চলতে থাকে মানুষের কর্ম
চঞ্চলতা ন‍্যায়-নীতি-নৈতিকতা-রীতি-ধর্ম
টুকটাক বাজার-ঘাট কাজ শেষ বাসাতে।


সন্ধ‍্যা প্রসঙ্গ;
প্রবেশ নাকতে করতেই আযান মাগরিব
যথাযথ ওজুর ন‍্যায় পবিত্রতা শেরে নামাজ
কায়েম করতঃ মসজিদ কিংবা বাসাতেই
অবস্থার পরি-প্রেক্ষিতে সময় কথা রয়।


এরপর সময় পরিবার পরিজনায় সকল
করো সামাজিক গঠন মূলক পরামর্শতা।
এরই মাঝে সময় ঘনিয়ে আসে এশারের।
আযানের ধ্বনি ধ্বনিত আহবান নামাজ!


রাত প্রসঙ্গ;
এশার নামাজ কায়েম মাধ‍্যম দয়াকামনা
হে আল্লাহ্ রক্ষা করো আমায়; আমাদের!
সকল মানব জাতির জন‍্যে কল‍্যাণ মুক্তির
মোনাজাত শেষান্ত পবিত্রতা মন পরিবার।


রাতের প্রীতিভোজ শেষ করতঃ সন্তানাদি
পরিবার-পরিজনাকে অপূর্ব মূহুর্ত খুঁশিতে'
ব‍্যয় পড়ালেখার খোঁজ-খবর সমস‍্যা শোনা
সুবিধা-অসুবিধা জানা ও সমাধান পরামর্শ।


এমন করেই রাত্র দশটা বাজতেই ঘুমরাজ‍্য
পরিবেশ মনটি স্ব-সপরিবার মোবাইল বন্ধ!
বিশ্রাম নিতে পরম সৌভাগ‍্য মনটি বিছানায়
কোন প্রকার আবল-তাবল-চিন্তা-ভাবনা না!


শয়তান প্রসঙ্গ;
রুটিন যেন অপূর্ব ছাত্র-ছাত্রীরা সকল জনা
একে অপর করবে স্ব-স্ব কর্ম যার যা সে তা!
করবে না কোন অনিয়ম-টিয়ম জগৎ খানা
এখন বলি কোথাতে শয়তান মানুষ নিকট?


মানুষই বিনাশ্রম বিনিময় লোভ-লালসাতেই
অনিয়ম করে হয় শয়তানীর মন স্বীকার হ্নদ
সেই মনের অপরাধ জগৎ ভারীতে চলা যেন
ভাল কাজ ফেলে শয়তান ছুল চলন মানুষ।


সেই সকল মানুষেরা হচ্ছে দিক হারা চলন
পথ-হারা অবমূল‍্যায়ন দিশে-হারা পথভ্রষ্ট।
সঠিক পথ চল সঠিক কর্মমন সেই মানুষে
কখনও শয়তান ভর করে না প্রকৃত মনুষ‍‍্য!
**************************
বাণী: মানুষ সঠিক পথে চললে কখনও শয়তান ভর করে না। শয়তান বলতে আমি বুঝি মানুষ যখনই নিজেকে চেনেন না। আর সেই তখন বেপথে চলতে থাকাতে বেঁহুশ চলন মনে শয়তান ভর করে। যারন‍্যায়, মানুষ পথচ‍্যুত ঘটানোর ফলেই ভাল পথে আর ফিরে আসতে না পারাতে একটি অনিয়ম পথ চলনে যাপনে শয়তান নামক অদৃশ‍্যের রোষানলের স্বীকার হয় আর ঐ'পথেই চলতে থাকে। যা মানুষেরই কর্মফল হিসাব ছাড়া আর কিছু নয়।