“মানুষের দ্বারস্থ হওয়া”
এক মানুষ অপর মানুষের নিকট যাবে..
এটাই তো স্বাভাবিক হওয়ার!
কেন মানুষ যাবে, কার কাছে যাবে?
কি করতে যাবে?
যাবেই তো মানুষ একে অপরের প্রয়োজনে!
আমরা মানুষরা একটু ভেবে দেখাতেই
জানতে পারি না কি অন্যান্য প্রাণিরাও
প্রয়োজনে আদান—প্রদান করে একে অপরের সাথে।
করে কি না?
তাই তো বলি..
মানুষও একে অপরের নিকট যাবে..
যাবে না কভূ ভিক্ষার জন্য দ্বারস্থ হতে।
যাবে না শুধু সাহায্যের জন্যে..
বিধিতার দেওয়া সুন্দর দু’টি হাতকে অসহায় করতে,
সাহায্যের জন্যে প্রার্থনায় চাবে বিধাতার দরবারে!!
সমস্ত চাওয়া—পাওয়া যা কিছু সবই ..
সেই সৃষ্টি কর্তা যিনি আমাদের দুনিয়াতে পাঠায়েছেন।
শুনবো তারই আইনের কথা; পালন করবো নিয়ম—কানুন;
আল্লাহর নাম স্মরণে বের হবো..
ভাল কাজের সন্ধানে, আল্লাহ্ চাহেতো..
মিলবে সন্মান জনক প্রাপ্তি।
বাঁধা আসবে কোন ইবলিস শয়তানের
কভু নাহি হার মানবো আল্লাহর রহমতের।
কাজের বিনিময়ে আদান—প্রদান হবে
এক মানুষ অপর মানুষের সাথে;
অপরের কভু নাহি করতে ক্ষতি নিজ ইচ্ছায়!
আমার যোগ্যতা যা চেয়েছি তাইতো আমি..
যোগ্য সাধনে করলে নিজেকে ক্ষতি
কি করে চিন্তা করি! অপরের ধন চুরি করে..
নিজে হতে চাই ধনী।
মানুষ মানুষ হবে বিধাতার মাধ্যমে চেয়ে..
প্রাপ্তির যোগ্যতায় ও নিজ বাহু বলে;
তাহলে চিনবে নিজেকে।
হতে হবে না দ্বারস্থ,
আল্লাহ্ যা পছন্দ করেন না;
তারই সৃষ্টি’র মানুষ দ্বারস্থ হোক অপর মানুষের কাছে,
ছোট করুক অপর মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি মানুষকে।
তাইতো বলি মানুষ আশরাফুল মাকলুকাৎ,
আল্লাহর সৃষ্টি’র সেরা জীব;
জ্ঞান অর্জন করবে, হবে কর্মঠ,
বৃথা—সময় নষ্ট কভু নাহি করে..
যৌবনে করবে সৎ পথে আয়—রোজগার,
তাহলেই তো হতে হবে না দ্বারস্থ আর।
===×××===
===××===
বাণী : মানুষমানুষের কাছে দ্বারস্ত হয় তার কর্মফলে। তাই কর্মফল খারাপ করার বোধশক্তি সব সময় মনে রাখতে হবে এবং সেই তুলনায় পথচলে কর্মচঞ্চলতায় মনকে মাতায়ে রাখতে পারলেই আর দ্বারস্ত হতে হবে না।

তারিখ: ০৫/০৭/২০১৭ইং।