নারী হল আমাদের প্রজন্মের আস্তা
নারী হল সুন্দর মননের অপূর্ব চরণ
নারী হল একটি পরিবারের অলঙ্কার
নারী হল একটি পরিবারের প্রেরণা।

সেই নারীকে কেন হতে হবে আজ অসহায়?
কেন হতে হবে প্রশ্নের এতো সন্মুখীন?
কেন হবে এই সমাজে এতোটাই ছোট?
ওহে নারী হও যদি সম্মানি তোমরা।

এমন কে আছে তোমাদের করার অপমান?
আমার বয়স পঞ্চাশের কুঠাতে দেখতে তো
পাই না কাহাকেও! আমারও তো তিন তিনটি
বোন রয়েছে! এমন তো কথা শুনি নাই কেহ'
করেছে এই সমাজে অপমান। এমন কর্ম কেন
করবে' তোমার সেই কর্মে হতে হবে অবহেলা?

নারী বলে নিজেকে কখনও করবে না ছোট!
কেন তোমায় হতে আসবে অনিয়ম বল না?
কেন তুমি কোন মনে অসহায়ত্ব হবে অপরে?
কোথায় তোমার বসবাস; একি কান্ড হচ্ছে?

তোমরা বলে থাক অসহায়; কেন বল?
কত যত্নে তোমাদের করা হয় লালন-পালন!
একটি সংসার দেওয়া হয় তোমাদেরই হাতের
পরশ পেতে করতে দায়িত্ব পালনের মহান সেবাতে!
নিবে সেবা; দিবে সেবা; এই হল এই দু'দিনের দুনিয়াতে।

নারী তুমি কল‍্যাণময়ী! নারী তুমি আদর্শ!
তোমায় ছাড়া পুরুষ চলতে পারে না কি?
না! একটি মূহুর্তও না; তবে কেন বল অসহায়?
ওহে নারী! শোন সকলেই হও সুন্দর মনের।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ইসলামের ঐশরীক অবতরণ
নাজিল হয়েছে মানব কুলের সন্মান মর্যাদা
অধিকার ন‍্যায় নিয়ম-নীতি শিষ্ঠাচার ও মান
মর্যাদাকে নিজস্ব গতিতে তৈরি করে রক্ষার্থে।

সেই প্রেরণাতেই কেন নারী হবে সমাজে
আজকের অসহায়ত্বের স্বীকার; কেন হবে?
নারী যদি হয় সহধর্মীনি! নারী-পুরুষ যুগল
বন্ধির এক-ছত্রের অপরুপের চমৎকার কি'

যে এক অসাধারণ মেল-বন্ধনের বিনা সুতার
মালাতে গাঁথা মহা মাল‍্য' যুগ যুগ চলে ধারা।
একই ছাদের নিচে প্রকৃত ভাল লাগারই এক
মুগ্ধ মনের সংসার ধর্ম বলে কথা সেই তরে।

সৃষ্টি কর্তা দিয়েছেন যেখানে যার যার স্থানে
নারী-পুরুষ এতোটাই মর্যাদা! সেইখানে কেন
করে থাকো কোন প্রকার নিয়মের বালাই না
মেনেই টিকটক ভাবনার মন চেতনাতে ভরে।

শেষ পরিনতি দেখ না নারী কি হয় কপালে?
কে তোমাদের অপমান করবে? কার আছে
এতো বড় ক্ষমতা এই সমাজে? কে এতো
নীলজ্জের! কোন লোক গুলির আছে ক্ষমতা??

আমি নারী যদি ইজ্জ্বত রক্ষার্থে থাকি ঐ'মন!
তবে কে আছে করবে নারীর লজ্জ্বা হরণ?
এতো বড় সাহস আছে কোন পুরুষের ঐ'মনে?
ওহে নারী তোমরা সন্তানের জন্ম দাত্রী; মমতাময়ী!

তোমরাই তো সন্তানের আপন ও নিরাপদ ঘর!
তোমরাই তো পুরুষের সংসারের স্ত্রী'কূল!
তোমরাই মেয়ে, ভাতিজী, খালা, ফুফু, মাসী, পীষি,
দাদা, নানী, মাঔ'মা, ননদ, ভাবী, শাশুরি, নাম না..

জানা অনেক সুন্দর নামেরই কাকী-চাচী চরণের!
তোমরাই তো এই জগতের প্রেয়সীর প্রেরণার অনেক
বড় স্থানের মর্যাদায় রয়েছো আর্শিয়ান হয়ে এ দু'নিয়াতেই।
সেই তরেই ভাল জানা ও ভাল বাসার পূজারিণী হয়ে।

তোমরা নিজে সভ‍্যতাতে হও তৈরি এই সমাজে
সমাজই তোমাকে করবে মর্যাদাবান।
কত শ্রদ্ধ‍্যাতে ভরে, করবে কদর তোমাদেরকেই।
যা তুমি কখনই ভেবে ছিলে কি ঐ'মন ভাবনায়।

ওহে নারী! আমি চাই না এই দেশেরই হয়ে সন্তান'
একটি নারীও যেন হয় না অপমান ও অবহেলিত।
সেই তরে গড়তে হবে নারীর মন! নারীকে
আগে জানতে হবে আমি নারী বটে মানুষও।

উচিত কাজ কোনটাই ছোট নয়! যা করণীয় সেই
কাজ গুলি করলেই সঠিক পথের সন্ধ‍ানে রবে নারী।
যেমন রয়েছে তোমার বিশালতার পরিচয় নারী মর্যাদায়!
এক অনন‍্য মনের খোরাক মেটাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে।

সেই পরিবারেরই নারী তুমি আপন রাণী!
নারী কল‍্যাণময়ী! নারী মা; নারীই একক
সত্তার অধিকারী; নারীই অহংকারের;ঐ'
পরিবারের নীঁড়ের আপন এক সুন্দরের;

পারিবারিক তান্ত্রিক ঠিকানার ভিত্তি স্থল।
যে সংসারে নাই নারী ' সেই সংসার হয় না
কোনই কল‍্যাণ কামী! হতে পারে কি কখনও
এ কথাটি সত‍্য ক'জনা জানি?

কোন পুরুষই হতে' পারবে না নারী ব‍্যতিত স্বামী!
হতে কি পারবে গর্বিত সন্তানের বাবা?
অপর দিকে নারীও অনুরুপে রুপেরই রাণী পুরুষেরই!
একে অপরের তরে হবে কেন ভেদা-ভেদ..

নারী পুরুষ বিদ্দেশ? কেন ওহে নারী কেন
করছো তোমরা ছোট নিজেদের; কেন??
তোমরা হও সৃজনশীল; তোমরা হও মূল‍্যবান;
তোমরা হও সঠিক ও মানব চরিত্রের এক'

অনন‍্য নারী কূলের গর্বিত সৈনিক' দেখবে
তোমরাই সেরা এই জগতের; অধিকারের
জন‍্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে না মাথাই দিবে
বলে তোমরা কি? কোন কাজে তোমাদের..

সফলতা আসবে? কোন কাজে তোমরা হবে
সম্মানি? কেন করে থাক অপ্রাপ্তের অনৈতিক
বেহিসেবীর অপ্রয়োজনে ভাল কাজে মন না
দিয়ে! সুন্দর দেহের অপূর্ব গড়নের রুপের হরিণী;

টানা-টানা দু'টি চোখের দুষ্ট-মিষ্টি ললাটের হাসি।
সেই হাসিটি কি উপযুক্ত জায়গাতে শোভিত হল'
কি না জেনেছো কি? না! না জেনেই নিজেরই
অজানাতে করে ছিলে ঐ'রুপ? না কখন করবে!

না! অমন করে ভাবনাতে জগতের সেরা ভুল।।
তোমরা তো নারী তোমাদের সম্মান সব জাগাতে
রয়েছে। তোমরাই সেরা এই জগতের। দেখ না
সারাটি বিশ্বের এই জগত সংসার সবই নারীদের;

হাতে। পুরুষরা কি তাই? না তা নহে। তবে কেন
তোমরা নিজেকে পুরুষ হতে আলাদা মনে ধরবে।
তোমাদের ভুলের কারণে ইছরে পাঁকা বুদ্ধিতে
যখন হও ছোট; ভাল লাগে না আমার তখন'সেই'

রাগে আমার মন হয় খাঁন খাঁনা! ওরে নারী কেন
কর আপন ভূবন ছেড়ে; নিজেকে পর? এনেছেন
বিধাতা এ'দুনিয়াতে দু'দিনের জন‍্যে এ'রহস‍্য কি?
সেই একমাত্র জানেন' জানি কি আমরা তারই;

সৃষ্টি মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির সেরা
জীব হিসেবে? শুধু জানি এটুকুই ভাল কাজ
করে যেতে হবে। সৃষ্টিকর্তাকে ভক্তির মাধ‍্যমে।
তারই হুকুম আহকাম (নারী-পুরুষ) উভয়ই
জেনে বুঝে জ্ঞানী হয়ে এ'ত্রি-ভূবণে চলাতে।
===×××===
===×××===
বাণী: একটি নারীর জন্ম মানে একটি সুন্দর ভবিষ‍্যৎ প্রজন্মের আখ‍্যানের অভয়ারোণ‍্য। সেই তরে নারীদের কে যারাই ছোট করে দেখেন সেই দেখাটাই মানবধিকার লঙ্ঘনের সামিল। সেই জন‍্যে প্রবাদে বলা হয় মানুষকে ঘৃণা না করে তার কর্মকে ঘৃণা করতে। যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।।