ওদের হয় যে রসিক মন
ওরা আমাদেরই সমাজের
ওরা আমাদেরই আপনের
ওদের রক্ষায় কে রবে মন?

ওরা যে বিনোদন দেয় বিলায়ে
নেয় যারা তারাতো খুঁশি বেঁজায়!
ওরাই তো সকলেরই আপন হয়
কি যে ওদের রম রমা চলা ফেরা!

হাসি ওদের ঠোঁটেতে লেগেই থাকে
কে কাঁদাবে ওদের; ওরা তো লল'না
সব সময় ওরা হাসে; ওদের ঐ'হাসি
ক'জনা বোঝে? আসলেই কে আছে?

ওদের হাসি বুঝিবার এই সমাজে?
ওদের নষ্টা বলা হলে দায়ীকে ওহে'
ভোগ বিলাসী জীবনের মানুষগুলি!
যারা ভালোবাসে ললনা'কে সেই মন।

আসলে তারা কে? জানতে বড়ই
জাগে ইচ্ছে! মন হয় সেই অজানায়
অস্থিরের এক অচেনা মনের বাঁদর;
ওদের তো বড়ই রসিক মন!

ওরে ভাই শুধুই দায়ী কর অপরকে কেন?
প্রশ্ন কি জাগে না একটি বারও?
কেন কে কি কারণে ঘরে স্ত্রী-সন্তান রেখে
কে গেছে ওদের রসিকতার মনটিতে?

ওদের কেন বানানো হল রসিক নামক
নাম করণের ললনার চরণের মানুষ?
ওদের অর্থের অভাব ছিল বটে' ওরা
চেয়ে ছিল দু'বেলা দু'মুঠো ভাত পেটেতে'

পুতে মাজার কোমড়ে কাপড় পেঁচিয়ে
কোন মতে জীবন-যাপন করতে। যেখানেই
যায় ওরা জীবিকা নির্বাহের জন‍্যে; সেখানেই
ওরা অবহেলিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত, ওরা

ঘর মুছে, ঝাড়ুদেয়, কাপড় কাছে, ওরা
বোকা হোক আর নিরিহই হোক! দরকার
কি জানার? যার যে কাজ সেই কাজ টুকুই
করলেই ভাল; প্রভুর ফকিন্নি চোখ ওদের!

দেহ খানার দিকে! লেলিয়ে হামলীয়ে পড়ে
ওদের ঔষ্ঠ‍্য ঠোঁটে; ওরা ইজ্জত রক্ষার্থে
জুরাজুরি করে; আপত্তি জানায়; কে শোনে?
লোভ দেখায় একদিন  দু'দিন; এই ভাবেই;

চলে মনের দেখা অদেখা ভাবনাতে কী আর
ভেবে না পেয়ে ভাবে কি আর হবে? যাক না
সময় কি আর করার ঐ'মনে চললে যদি হয়
কামাই! কেন করবে না আয়-বেশী বেশী!!

চলে সেই নষ্টা মনের চেতনাতে ভরে কি যে
এক অজানা ভয়ানক ক্ষতিতে দিক হারা
ভাবনার অপ্রীয় চাল চলনের হাফ-ভাবে?
যত সময় চালায় চলে ভালই আরো সাথে'

অনেকেরই সাথে নিয়ে। দায়ী যখন দায়বদ্ধের
সীমা লঙ্গনের দায় এক সময়ে কেহই কি নেয়?
না সেই চরণের তরে কেহই নিতে কি চাহে
অন‍্যের পাপ নিজের ঘাঁড় খানাতে?

প্রকৃত পক্ষে এই সমাজের কেহই খারাপ নহে!
অর্থ-কষ্ট-অভাব-অনাটন-অবহেলা-কথা-না-
সঠিক-বলৃ-না-শোনা-যোগ‍্য-না-হয়েও-যোগ‍্য
-মন-চরণে-বেসামাল-চলা-ফেরা-মন-ভাবে।

সেই তরে এক সময়ে হয়ে পরে ওরা সেলিবেটি'
আর যায় না ওদের রসিক মনটিকে থামানো।
ওরা চাইলেও দেয় না বিবেক থামাতে। কারণ
এই সমাজ এমনই একটি আস্তাগাড়ল বসবাস।

ওরা ভালভাবে সমাজে করলে বসবাস
আনেকেই আছে চুলকাতে ওস্তাদ!
সেই যন্ত্রণাতে ওদের ভাবনা ছিলাম ভালই
এখন দেখি আমাদের জগৎ হতে আরো বদের'

হাড্ডি এই মুঁখোশ পড়া সমাজ নামক অশোভ‍্য
মানুষেরা। কি যে জগতের সেরা মানুষ ওরা?
কোথাও নাই যে ঠাঁই ওদের ওরা তাই তো রসিক!
আর হবে না সাধন কোন জনমের তরে কি করি?

কে আছে গো এই সমাজের মানুষ স্বার্থ ছাড়াই
করবে ক্ষমা নিবে ভাল চোখ দু'টিতে দেখে কে
আছে এই সমাজের বুকে? দেখতে তো পাই না!
শুধুই সমালোচনা; ঐ'দিকে দু'চোখের ভ্রু'র দৃষ্টি

এমন করে তাকায় ওদের রসিক মনের দিকে।
কি যেন বলতে চায় গোপনে গোপনে নিরবতায়!
এক দিন বলে ওরে রসিক মনের দল তোরা কি
দিবি আমায় সময়? আয় না দিব ভালোবাসা।

কি যে দিতে চায় সমাজ দেখেন না এই হল
সেই ওদের রসিক মনের নিরাপত্তার আবাসন।
কোথায় গেলে পাবে ওদের সত‍্যই সঠিক ঠিকানা?
এমন মহৎ মানুষ কে বা আছে নিঃশর্ত ত‍্যাগীর?

তাই তো বলি ওরে নারী সংরক্ষণের মহা সংগঠন
মানবধিকার সংস্থা! টেলিভিশনের পর্দাতে বল
নারী সংরক্ষণের কথা! বল কতশত  উপকার
ভোগী ও অবহেলিত বাক‍্যালাপণের মুগ্ধকরের

বচন; কোথায় তোমাদের সেই বড় বড় হাফ
ভাবের উপকারের মধ‍্য মনির চরম চরণের মূল‍্য
ওদের রসিক মন কই পায় না তো কোনই ঠাঁই।
কতশত অবহেলিত নারীরা রয়েছে পড়ে এই'

সমাজের বুকে। ওদের পেটে নেই ভাত পড়নে
কাপড়! ঐ'দিকে গোল-টেবিলের সুন্দর ঝিলিকে
চমকানো পোশাকে বাহারী দেখতে কি যে রয়ে
কথার বড় বড় ঝুঁড়ি! মনে হয় আজি'ই ওদের '

নাম কাঁটা পরবেই সবে বের হয়ে মাথাতে ভারী।
দেখা যায় ওদের নামেই আসে অনেক অর্থ-
কড়ি-সাহায‍্য সহযোগিতা: পেট পুঁতে খায় ঐ'
গোলটেবলেরই লেকচার দেওয়া মুঁখোশ পড়া
ভদ্রবেশের এই সমাজেরই লোক জনেরা।

ঐ'ভাবনাতে  ওদের রসিক মন শুধুই বলে
থাকরে তোরা ঐ'মনটিতেই রসিক হয়েই
যেখানে আমাদের স্থান পেয়েছি সেথাতেই;
ওদের রসিক মনটি বলে থাকি আমারই জগতে।।
===×××===
===×××===
বাণী: এই সমাজে সমালোচকের  অভাব নেই। কিন্তু বাস্তবতাতে সংশোধন করে সুন্দর স্থান গড়ে তুলে স্থায়ীত্ব করা বড় কঠিন।।