কি যে ভাল লাগছে তোমায়
পরেছো যে সাদা পাঞ্জাবী!
পেয়েছো কোথায়?
নিজের উপার্জিত অর্থে ক্রয়কৃত?
না কি উপহার?
ভালই তো মানায়েছে তোমায়;
এ যে সাদা পাঞ্জাবী।
টুপি টা যদি হয় সাদা;
পড় যদি মাথায় টুপি..
পায়জামাটিও যে সাদা..
আ-হা-কি-যে-তোমায় লাগছে?
এক ছত্র ভাঙ্গা সাদা শঙ্কচিল বা বক..
পালকের দল ছুটের এক হৃদয়;
এই সাদা মনে হয় যদি মানুষের মন সাদা
না পায় যদি প্রাণে কালো দাগ,
যদি না নিতে চাই আমরা মানুষরা..
তবে কেন আসবে মানুষের জীবনে
ছত্র ভাঙ্গা শঙ্কচিল বা বকের হা-হা-কার?
লাগবে কেন হৃদয় ও প্রাণে কালো দাগ?
সাদা মন আর প্রাণের সেই শিশু..
লালিত-পালিত হয় যে পিতা-মাতা মোহে আপন মনে!
তবে কেন কিসের জন্যে হয়ে বড়
দাগ লাগাতে হয় মানব জীবনে?
লোভ-লালসায় পিপাসিত হয়ে
দাগ লাগায়ো না হে মানুষ জাতি আমরা;
করো না সাদা পাঞ্জাবী-টুপি-পায়জামাতে কলংঙ্কিত।
যেমনে পরেছো সৌন্দার্য্য বৃদ্ধিতে পোশাক যে পাঞ্জাবী,
ধরে রাখ ঐ পোশাকের মর্যাদা!
যতই কঠিন অর্থ, প্রেম, বেদনা ও ঝঞ্জা আসুক না কেন;
মানব জীবনে মানুষের।
শত প্রতিকূলতার মাঝেও ভেঙ্গে পরা যাবে না যে;
লাগানো যাবে না সাদা পোশাকে দাগ।
লাগানো যাবে কি মনে-প্রাণের হৃদয় মাঝে
অন্তরের সেই অন্ত:নিহিত সেই শর্তায় দাগ?
যখনি পরিবে শরীরে পোশাক হোক না
(সাদা, কালো, বেগুনী, নীল, লাল, সবুজ ও হলুদ)
সবই হল মানুষের লজ্জা আবরণের বস্ত্র।
মনের মাঝে যে রয়েছে পোশাক সেই তো
মানব জীবনের আসল ও প্রকৃত পোশাক!
ঐ সাদা পাঞ্জাবীতে যদি আমরা মানুষরা লাগাই দাগ
তাহলে কি আমরা কখনও উপরের পোশাক বা লেবাজ
ধারণে হবে কি লাভ?
হতে পারা যাবে কি আমরা স্বভাবে সুন্দর?
পোশাকে নয়, মনের পোশাকেই হতে হবে প্রকৃত সাদা!
তাহলে বয়ে বেড়াতে হবে না
পোশাক ধারী নামে অপমানের বোঁঝা।
সেঁজো না সং, নামী-দামী পোশাকের রাজা;
অনিয়ম-তান্ত্রিক ভাবে হতে চেওয়া না
ইট-পাথরের রাজা-বাদশা, গাড়ি ও বাড়ির মালিক।
যদি মর্যাদা রাখতে না পারো;
তবে কেন পরিধান করো?
উপরের লেবাজধারী সংক্রমিত পোশাক?
তুমি যে নষ্ট; তোমায় দেখে আরো করবে যে নষ্টামী;
তবে কেন করো এতোটাই দুষ্টামী?
তোমার গাঁয়ে যে সাদা পাঞ্জাবী।
যখনই পোশাক পরেছো,
লজ্জা তোমায় আবরণ করেছে কি?
আমরা কি রক্ষা করতে পারছি মর্যাদা পোশাকের?
আমরা তো অধম সামান্য পোশাকের চেয়েও;
কোর্ট-প্যান্ট-শার্ট, টাই, জুতা ও কোমর-বন্ধনীতে
কি যে সুন্দর লাগছে দেখতে?
আমরা মানুষরা যে মস্ত বড় সাহেব!
আসলে কি আমরা মনে ও প্রাণে সাহেব হতে পেরেছি?
শরীরে দামী পোশাকের আড়ালে সারা দিন করছি যে কি?
ভেবে কি দেখেছি কখনও আমরা?
পবিত্র কাজ না করে; আল্লাহর দরবারে..
ফরিয়াদের মাধ্যমে না চেয়ে;
করছি যে ধান্ধা অবৈধ অর্থ উপার্জনের।
পরিণতিতে এনে ক্ষতি জীবনে;
কি লাভ হচ্ছে মানুষের?
পরিশেষে অপমান ও লাঞ্চনা-বঞ্চনার হচ্ছি যে স্বীকার জীবনে।
কে খাবে আমার এই অবৈধ সম্পদ?
কার জন্য করছি?
কেন করলাম?
তারা কি কখনও আমাকে করতে পারবে ক্ষমার কাজে বিসর্জন নিজেকে?
তবে কেন লাগায়ে আসছি আমরা মানুষরা নিজের
জীবনের সাদা মনে কলংঙ্কের দাগ?
পোশাকে নয় মনে লাগলেও এ দাগ মুছবে না।
তাই তো বলি ত্যাগ কর সব লোভ-লালসা;
এসো সত্যের পথে; পথ চল অবিচল:
দাগ লাগতে দিওনা জীবনের তরে নিজেকে,
তোমাকেও কেহ লাগাবে না অন্যায় ভাবে।
এরই নাম সাদা পাঞ্জাবীতে দাগ!!
দিওনা লাগতে মনে-প্রাণে-অন্তরের ও হ্নদয় মাঝে
সাদা মন, পোশাক ও পাঞ্জাবীতে দাগ।
সবই পবিত্রতার এক ছত্র সেই পোশাক যার নাম পাঞ্জাবীতে দাগ।
===×××===
===×××===
বাণী : মানব মনের মাঝে থাকে যদি অস্বচ্ছতার কালো দাগ! সেই দেহে যতই পরিধান করি সুন্দর ও রুচিশীল মনের মাধূর্যতার রংয়ের পোশাক' দেখতে যতটাই অপরুপের হউক না কেন! প্রকৃত পক্ষে ঐ মানুষ গুলি ভাল নহে। সেই সকল মানুষ হতে সাবধানতা অবলম্বন করাটাই শ্রেয় ও উত্তম পন্থা।