এই আহ্বান জানবেন প্রিয় রাষ্ট্রপতিগণ
জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও সাধুবাদ
যে, যে দেশেরই সন্তান হন না কেন!
হন সুনাগরিক; হন জ্ঞানবান; গুণে সৎ।

করেন রাজনীতি; সমাজনীতি; জ্ঞান
গড়িমাতে গুণিজন! আপনার সততা;
আপনার যোগ্যতা জানুক সকলেই!
রাষ্ট্র পরিচালনায় হউন রাষ্ট্র-নায়ক।

জেনে নেন সমরনীতি কি?
না জেনে হলে রাষ্ট্র প্রধান!
রাষ্ট্র পরিচালনায় দশকে দিয়ে
চালাতে হয় যে’ ওরা যেন
ভুলের মাঝে ডুবাতে না পারে।

কোন দেশ তোমার শত্রু নয় তো!
এমন রাষ্ট্রই করবে পরিচালনা।
সেই মন গড়ে তুলবে একান্তই
দীপ্তমানের অনন্যতায় ভরা লক্ষ‍্যে।

ওহে রাষ্ট্র নায়ক! দেখ অন্যায় করলে
কি হয় জীবনে? জোর করে কেন
ক্ষমতায় রইবে? কেন অন্য রাষ্ট্রের
ভূ-খন্ডের প্রতি চোখ তোমায় যাবে?
কেন করবে হত্যা মানুষ হয়ে মানুষকে?

এই দেখ না আমার দেশের সন্তানেরা!
জ্ঞান অর্জন করতে যাচ্ছে তোমার দেশে!
যোগ্য হয়ে করছে ওরা তোমার দেশেই রাজনীতি।
করছে কর্ম এক দেশ হতে যেয়ে অন্য দেশে।

অর্জন করছে ওরা বিদেশী মুদ্রা সরকার পাচ্ছে
সেই শ্রমেরই উল্টাপিঠের রেমিটেন্স।
তাই তো বলি প্রত্যেকে আমরা পরের তরে
এই তো দেখ কেহই তো আর পর নহে।

তবে রাষ্ট্র দখলের কি দরকার?
প্রয়োজন তো হল মানুষ-মানুষের
মৌলিক চাহিদা পূরণে যোগান দেওয়ার!
সেই মনে আদান-প্রদানে সাক্ষাৎ...

রাষ্ট্র-রাষ্ট্রের সাথে পররাষ্ট্র নীতিতে।
আর করোনা সীমানা নিয়ে টানা-হেঁচড়া!
আর করোনা রক্তাক্ত! আজ করলে দখল!
তোমার রাষ্ট্রের যখন আসবে দূর’গতি’

সেই দিন তোমার হারাতে হবে সব শক্তি!
তাই নয় কি? দেখ না ভেবে তাই হয় কি?
শোন আমার কথা; শোন মনটি দিয়ে!
ভেজাল করোনা ঐ’বদমাহিশ মনটিতে।

এমন করে ঐ’মনটি দিয়ে চালাবে রাষ্ট্র!
যেন কোন রাষ্ট্রের একটি ক্ষতিও হয় না
তোমার দায়িত্ব চলাকালিন সময় অলক্ষ‍্যের।
তোমরা কি বরবর জাতি?

তোমরা না কি হয়েছো সভ্য?
জ্ঞান-বিজ্ঞানে সেরা?
তবে কেন করছো না জ্ঞানে জ্ঞানে লড়াই?
করছো কেন পাশবিক চেতনায়!

কেন অন্যায় ভাবে নিজের রাষ্ট্রকে
বড় করার নেশায় করছো অপর’
রাষ্ট্রকে ক্ষতি; কেন করছো বল?
দাও জবাব; দাও জবাব; চাই জবাব!

পারবে কি দিতে ঐ’মনে?
কি করে গেলে; কোন নেশাতে?
কিসের তরে বোকা ভাবনা মনে!
আর হিংসা নয়! আর মিথ্যা অহং নয়!

ছাড় সব; করবে কাজ ন্যায়-পরায়নতায়;
সকল মানবের তরে; মূল্যবোধ মাপকাঠিতে!
সেই চেতনায় কখনও হবে না পর তুমি!
কোন দেশের নিকটে মীর-জাফর নামে।

কি দরকার ছিল পারমানবিক বিষাক্ত
গ্যাস ছেড়ে সারা বিশ্বের মানুষকে এতো
ক্ষতি করে? কি দরকার ছিল বলো না?
ঐ’ভাবে কি তোমরা রাষ্ট্রপ্রতি সারাটি'

জীবন চলতে পারবে দলমত নির্বিশেষে?
না এক সময়ে তোমাদের সুসম্পর্কের ভাটা
পড়বে। পররাষ্ট্র ও কূটনৈতিক নীতিতে
আসবে পরিবর্তন; সেই সময় কি করবে?

আমার আহ্বান রইলো এই মর্মে!
আর কোন রাষ্ট্র দখল নয়;
কর আপোষে সীমানা ঠিক;
নতুন নতুন উদ্ভাবণীতে দাও মন!

সকল মানুষের জন্য কর সুন্দর আবাস স্থল!
তৈরি কর কর্মক্ষেত্র!
গুণিজনের কদর বুঝে চল!
মূল্যায়ন কর তাদের!

যোগ্য জনকে দা্ও দায়িত্ব’
প্রয়োজনে নিজের আসন ছেড়ে!
যে আসন নিজের চিরস্থায়ী নহে’
যেখানে থাকা যাবে না আমৃত্যু!

সেখানে কেন এতো হুমকার?
এমন ভাবেই চালাও রাষ্ট্র!
হ্ও একজন দীপ্তমানের অনন্যতায় ভরা
বিশ্বসেরা সুবুদ্ধির সুনাগরিক উদাহরণে'

ঐ’দেশেরই রাষ্ট্র-নায়ক!
এই দাবী রইল আমার মানবতায়!
একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে;
”সকল দেশের রাষ্ট্র নায়কের প্রতি আহ্বানে"।
===***===
===***===
বাণী: রক্ত কখন সুখ এনে দেয় না। তাই যে কোন সমস্যা দেখা দিলে শলা-পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করাই শ্রেয়। এর ব্যয়িত ঘটলে উভয়ই অন্ধকার পথে চলে অকল্যাণ বহণে হিসাব মিলানো বড় দায়ভার হবে। যার সমপরিমাণ ক্ষতি একজন প্রকৃত রাষ্ট্র-নায়ক ও দিতে পারবে না। সেই রাষ্ট্র প্রধান হয়ে কি লাভ? যা ইতিহাস ঘৃণায় ভরে স্মরণ করবে।।