মন চেয়েছে গ্রামের বাড়িতে যেতে
ঢাকা শহর হতে গাবতলী অভিমূখ।
এলাম ছুটে সিএনজিতে চেপে বাস
টার্মিনাল। কাঙ্কিত বাসে পেলাম না
টিকিট। পেলাম ঝিনাইদহ সোনালী
পরিবহণ টিকিট। তখন সময় সন্ধ‍্যা
আটটা। রাতে পরশ; শীতল প্রবাহ;
চলছে গাড়ি সড়ক পথটি বেয়ে বেশ।


বিপরিত মূখী গাড়িগুলি চলছে তাই
পরিবহণ লাইট আলোয় চালকেরা
দেখছে পথশত। আশে পাশে যাত্রী
সকল কেউ দেখছে জালানায় সুন্দর
দৃশ‍্য আবার কেউ বা ঘুমিয়ে বিভোর!
আমি লেখছি কবিতা সন্ধ‍্যা বাসভ্রমণ!


মাঝে মধ‍্যে সহধর্মিণী দিচ্ছেন ফোন
কথা হচ্ছে কোথায় কত দূর এমনটি
করেই সময় যেন কবি তার পাতায়
বন্দি।এই কবিতা লিখতে লিখতেই
এসে পৌঁচ্ছিলাম পাটুরিয়া ফেরিঘাট।
ভাল লাগা রইল বিনোদন বাস ভ্রমণ!


যাত্রা পথের পথচারী ভরসা একমাত্র
আল্লাহর প্রতি। হে আল্লাহ যাত্রা শুভ-
করিও। সেই ভাবনা স্মরণ করি সদা।
পরিবহণে যাত্রা কালিন এ'দোয়া পাঠ
করি 'বিসমিল্লাহে মাজরিহা ওয়া মুর-
ছাহা ইল্লা রাব্বিলা গাঁফুরুর রাহিম'।


নদীপথে যাত্রাকালিন পাঠ করবে 'ইন্নি
কুনতু মিনাজ জলেমিন' ফালতু গল্প
-স্বপ্ল এদিক সেদিক এলোমেলো না
চলি। বিধাতার রহমত কামনা সুন্দর
মনে পবিত্রতায় জীবন চলার পথটি
সতেজতায় উচ্ছাস চলি যেন অবিচল।


তবেই ভ্রমণ পূর্ণতা পাবে উত্তমতায়।
ঘরে ফেরা হয় এক চমৎকার সুহ্নদয়
নদীতে বাস উঠে ফেরীর উপর পদ্মা
দৃশ‍্যতা অন্ধকারাচ্ছন্ন দূর হতে মিটি-
মিটি অপর ফেরী, লঞ্চ-স্টীমার, নৌকা
জেলেরা মাছ ধরার নেশায় বিভোর।


পালতোলা নৌকা গুলি ব‍্যবসায় ব‍্যস্ত
নদীপথ ছুঁটছে তরিঘরি। প্রকৃতি সাঁজ
বিধাতার এমন দান অভূত পূর্ব পাওনা!
মানবতার জ্ঞান অর্জন অনন‍্য এ'ধরা।
***********************
বাণী: ভ্রমণ মানব জীবনের খোরাক। যা অবশ‍্যই প্রতিটি মানুষের জন‍্য কাম‍্য। ভ্রমণ মানুষকে জ্ঞানী করে গড়ে তুলতে সক্ষম। ঘর হতে বাহিরৃ প্রবেশ মানেই এক একটি মানুষ তাকে কম আর বেশি চিনতে পারাটাই স্বাভাবিক। তাই ভ্রমণ হোক সে নিজ দেশের মধ‍্যে না হোক বৈদেশ। নিজকে জানতে হলে ভ্রমণ অবশ‍্য অতীবও গুরূত্বপূর্ণ।